মেহেরপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মেঘনা (২৫) নামের এক গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন পুলিশ। গৃহকর্মী মেঘনা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার বিমল কুমারের মেয়ে।
৯৯৯ থেকে কল পেয়ে বুধবার বিকাল ৩ টা ১৫ মিনিটের সময় মেহেরপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টীম পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তার চোখে আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন। তবে বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় ওই রোগীর জ্ঞান ফিরেছে বলেও চিকিৎসক জানান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেঘনা জানান, আমি মেহেরপুর শহরের মুখার্জিপাড়া এলাকার সোহেল ও রিয়া দম্পত্তির বাড়িতে আয়া হিসেবে কাজ করি। গৃহকর্তা সোহেল আমাকে একা পেলেই কু-প্রস্তাব দেন। তার কু-প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করে। আজ সকালে আমাকে আবারও কু প্রস্তাব দেন গৃহকর্তা সোহেল। তার কু প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় সে আমাকে প্রচন্ড মারপিট করে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে আমাকে ফেলে রেখে যায়।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মকলেছুর রহমান জানান, ওই নারীর শরীরের চোখের উপর ও শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে চোখের চিকিৎসককে দেখানোর জন্য বলা হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুলফিকার আলী বলেন, বিষয়টি এখনো আমাদের থানায় আসেনি। খোঁজ খবর পেলে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।