‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যম বান্ধব। সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে, আক্রমণ বা ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করলে সাত বছর জেলের বিধান রেখে আইন আমরাই করেছি। গণমাধ্যম কর্মীদের আমি অনুরোধ করছি আপনারা সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলবেন। আপনারা অনুমোদিত গণমাধ্যমের কার্ডধারী সাংবাদিকগন কেন্দ্র ও ভোট গণনা পর্যবেক্ষণ করবেন। প্রয়োজনে ভোট গণনা কালে আপনাদের ক্যামেরা ধরে থাকবেন।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার শামীম হাসানের সম্মেলন কক্ষে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব:)। মতবিনিময় সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলার ২ টি আসনের ১৩ জন এবং মেহেরপুর জেলার ২ টি আসনের ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিং এ ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব:) আরও বলেন, ‘ প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে। বাকি ছিল শুধু তাদের পা ধরা। রাজনৈতিক দলগুলোর যে সকল প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা যদি আন্তরিক না হন তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর যে কয়টি নির্বাচন করেছি সেগুলো ব্যাপক ভাবে গ্রহনযোগ্য হয়েছে। সে নির্বাচন গুলি অবশ্য ইভিএম এ হয়েছে। এবার কেউ ইভিএম চাচ্ছে না। এজন্যই এবার আমরা ইভিএম থেকে সরে ব্যালটে এসেছি।
প্রার্থীদের অতি উৎসাহী কর্মীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করে। আমরা প্রার্থীদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা এবার জেলা প্রশাসকের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষণা করেছি। আমাদের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস রয়েছে, আমাদের এবারের টিম এবার ম্যাশিনের মতো কাজ করবে।