ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগর বাতান গ্রামের সাইফুলের স্ত্রী ইয়াসমিনের প্রসব বেদনা শুরু হলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রসূতি মায়ের সিজার হবে না এই মর্মে সরকারি হাসপাতালের ক্লিনিকের দালালের সহযোগিতায় ঝিনাইদহ ট্রাক টার্মিনালের পূর্ব পাঁশে অবস্থিত কেয়ার হাসপাতালে ২৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ভর্তি করে।
এই মর্মে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অপূর্ব কুমারের সহযোগিতায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সাবেক সুপারিন্টন অজ্ঞানের ডাঃ আয়ুব আলী ২৭ জুন বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে কেয়ার হাসপাতালে সিজার করে দুইটি জমক সন্তান প্রসব করায়। রুগীর স্বজনদের অভিযোগ ইয়াসমিন সিজারের সময় অপারেশন থিয়েটারেই মারা যায়। বিষয় টা গোপন করে রুগীকে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে যশোর পাঠায়। যাহাতে তার বলতে পারে যে রুগী উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানর সময় মাঝ পথে মারা গিয়াছে। প্রসূতি মায়ের দুটি জময সন্তান একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। তারা সুস্থ আছে। জানা যায় ৪ বছর আগে ঝিনাইদহ সুরাট ইউনিয়নের হামদহ ডাঙ্গা গ্রামের ইসলাম মিয়ার মেয়ে ইয়াসমিনের বিয়ে হয় নগর বাতান গ্রামের সাইফুলের সাথে।
উল্লেখ্য কেয়ার হাসপাতালের মালিক ডাঃ অপূর্ব কুমার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার। যার কারনে প্রতিদিন হাসপাতাল চলাকালিন সময়ে তাকে হাসপাতাল থেকে ৪/ ৫ বার কেয়ার হাসপাতালে ছুটতে দেখা যায়। তাছাড়া কেয়ার হাসপাতালের ম্যানেজার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে বহিঃ বিভাগের টিকিট সেল করে থাকে।
জানা যায় এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে কোর্টপাড়ার নুর আলমের স্ত্রী বিথি খাতুনকে সিজার করাতে ঝিনাইদহ কেয়ার হসপিটালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সিজার করার পরে দুই দিন ধরে ব্লিডিং হতে থাকে এই অবস্থায় রোগিকে ডায়াবেটিকস হসপিটাল থেকে ডায়ালাইসিস করানোর চেষ্টা করে। অবশেষে রোগির কোন পরিবর্তন না হলে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং খরচ বাবদ ডাক্তার রুগীকে ১৫হাজার টাকা দেয়। রুগীর অবস্থা বেশি খারাপ দেখা দিলে ফরিদপুর থেকে রুগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে কিন্তু রুগীর সামর্থ না থাকায় তারা রুগীকে খুলনা গাজি প্রাঃ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে থাকেন। এভাবে দীর্ঘ ১মাস যাবৎ চিকিৎসা চলার পরে রুগীর মৃত্যু হয়
পূর্বের ঘটনার মত ইয়াসমিন মারা যাওয়ার পর এই ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ঝিনাইদহে প্রভাব শালীদের ধর পাকর করছে বলে জানা গেছে।
এই প্রসঙ্গে ডাঃ আয়ুব আলীর সাথে কথা বললে সে বলে যে আমি যখন হরিনাকুন্ডুতে ছিলাম সেই সময়ে গাইনি হিসাবে কাজ করতাম। তাছাড়া আমার ১ বছরের গাইনি কোর্স করা আছে। ঝিনাইদহের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন প্রসুতি সিজার করে থাকি। যাহা খোঁজ করলেই জানা যাবে।
ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম বলেন যে আমি জানি আয়ুর আলী অজ্ঞানের ডাক্তার সে কি ভাবে সিজার করছে তা আমার জানা নেই। আমি ভাল ভাবে জেনে বিষয়টা আপনাদের অবগত করব।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন যে আমি শুনেছি যে ঝিনাইদহের কেয়ার হাসপাতালে একজন প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। যদি অভিযোগ আসে তাহলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।