তিন দিনের অবরোধ ডেকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখেছে বিএনপি। রাজধানীর কোথাও অবরোধের সমর্থনে মাঠে নামেনি দলটির নেতাকর্মীরা। দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর সড়কে বেড়েছে যানবাহন চলাচল। বিভিন্ন মোড়ে তৈরি হয়েছে যানজটও। ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক। নগরবাসীর নিরাপত্তার সড়কে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান।
অতীতে বিএনপির কার্যালয় অবরুদ্ধ কিংবা পুলিশের দখলে থাকলেও দলটির কার্যালয়ে অবস্থান করতে দেখা যেতো দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে। কিন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে বিএনপির এই নেতাকেও কার্যালয়ের আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বাংলামোটর, শাহবাগ, সচিবালয়, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক দিনের তুলনায় সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা অনেক কম। তবে এসব এলাকার কোথাও অবরোধের সমর্থনে বিএনপি জামায়াতের কাউকে রাস্তায় দেখা যায়নি। কোথাও চোখে পড়েনি মিছিল, শোনা যায়নি কোনো স্লোগান। একই সময়ে সরকারি দলের কোনো নেতাকর্মীকেও মাঠে দেখা যায়নি।
এসব এলাকায় গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা প্রথম দিনের চেয়ে বেড়েছে। রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের উপস্থিতিও বেশি। এই কারণে অবরোধের টানা দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন মোড়ে যানজট তৈরি হয়েছে।
এদিকে সময় মতো রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সাইফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, জরুরি কাজে তাকে রাজশাহীতে যেতে হচ্ছে। একারণে স্টেশনে এসেছেন। কাউন্টারে ভিড়ের কারণে টিকিট কাটতে তাকে ঘণ্টা খানিক লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
বিএনপি ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে রবিবার হরতাল ঘোষণা করে। এরপর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয়। একই কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীও। তাদের সঙ্গে আছে সমমনা দলগুলোও।