রীতিমত স্বপ্নময় ব্যাটিং করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। ম্যারাথন জুটি ভাঙার জন্য যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছিল লংকান বোলাররা।
তাতে কাজ হচ্ছিল না কোনো। প্রথম সেশনে ৭৬ রান যোগ করল এ জুটি।
১২৬ রান নিয়ে নামা শান্ত আজ ১৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন মুমিনুলের সেঞ্চুরির পরই। টাইগার সমর্থকদের আশা ছিল, এবার মিশন ডাবল সেঞ্চুরি।
কিন্তু তা আর হলো না। আরও ১৩ রান যোগ করে থামল শান্তর ব্যাট। ১২৪তম ওভারে শান্তকে নিজের ফিরতি বলে ক্যাচে পরিণত করেন লাহির কুমারা।
২৪২ রানের জুটি ভাঙে। ৩৭৮ বল খেলে ১৬৩ রান করে আউট হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস তার এটি। এর আগে তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ৭১ রানের, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুয়েছেন শান্ত প্রথম দিনেই। ৫০ ছুঁয়েছিলেন ১২০ বলে। সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে লাগে ২৩৫ বল।
গতকাল তামিমের সমান ৯০ রানে পৌঁছেন ১৯৭ বলে। নার্ভাস নাইনটিতে পৌঁছে আরও সতর্ক হন। পরের ১০ রান করতে তার লাগে ৩৮ বল। ধনাঞ্জয়াকে চমৎকার কাভার ড্রাইভে চার মেরে নাজমুল পৌঁছে যান শতরানে। ২৮৮ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত থেকে দিনশেষ করেন তিনি।
আজ দ্বিতীয় দিনে মুমিনুলের সঙ্গী হয়ে আরও যোগ করলেন ৩৭ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে তার ইনিংসগুলো ছিল-২৫, ০, ৪ ও ১১ রানের। ৬ টেস্ট শেষে গড় মাত্র ২১.৯০। ৭ম টেস্টের এক ইনিংসেই তিনি যোগ করলেন ১৬৩ রান। যা তার গড়কে অনেক বাড়িয়ে দিল।
শান্তর অনবদ্য ইনিংসের সমাপ্তির পর ব্যাট হাতে নেমেছেন মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। জুটি বেঁধেছেন অধিনায়কের সঙ্গে।
ইতোমধ্যে ১৬ রান যোগ করেছে মুমিনুল-মুশফিক জুটি।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪১০ রান। ২৮২ বল খেলে শান্ত ১১৯ রানে অপরাজিত মুমিনুল। অন্যপ্রান্তে ৩৪ বল মোকাবিলায় ১২ রান সংগ্রহ করেছেন মুশফিক।