বলিউডের জনপ্রিয় বিভিন্ন সিনেমার চিত্রনাট্যকার সেলিম খান ও অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের বন্ধুত্ব অনেক পুরনো। বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন ৭৯তম জন্মদিন ছিল সোমবার। ভারতের কিংবদন্তি এ অভিনেতার জন্মদিনে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তার উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খানের বাবা সেলিম খান।
তার জন্মদিনে ভারতের হিন্দিভাষায় প্রকাশিত দৈনিক ভাস্কর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। ওই সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও জিনিউজ।
জিনিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সেলিম খানের লেখা চিত্রনাট্যে ১০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। সেলিম খানের লেখা একেকটা সংলাপ অমিতাভের ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন।
দৈনিক ভাস্করকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেলিম খান জানিয়েছেন, এবার অবসর নেওয়া উচিত অমিতাভ বচ্চনের। প্রফেশনাল লাইফের দৌঁড় থামিয়ে এবার ব্যক্তিগত জীবন উপভোগ করা উচিত তার।
একজন সফল অভিনেতা জীবনে যা যা অর্জন করেত পারে অমিতাভ তার সবই অর্জন করেছেন বলে মনে করেন সেলিম খান।
সালমান খানের বাবা সেলিম খান বলেন, জীবনের কিছুটা সময় নিজের জন্যও রাখা প্রয়োজন। বলিউডে অনবদ্য ইনিংস অমিতাভের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক ভালো সিনেমা। কিন্তু এবার এই দৌড় থেকে অবসর নেওয়া উচিত তার।
বলিউডের জনপ্রিয় এ চিত্রনাট্যকার বলেন, মানুষের পুরো জীবনটাই কর্মময় কিন্তু একটা সময়ের পর নিজের ইচ্ছায় বাঁচা জরুরি। ছোটবেলায় পড়াশোনা, তারপর পরিবারের গুরুদায়িত্ব এভাবেই জীবন বয়ে যায়।
সেলিম খান বলেন, অমিতাভ বচ্চন তার ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ ইমেজের জন্য বিখ্যাত, আজও তিনি সেই ইমেজেই জনপ্রিয়; কিন্তু এই সময়ে যেসব সিনেমা তৈরি হচ্ছে তা কখনই অমিতাভের যোগ্য নয়।
প্রথমবার ১৯৭৩ সালে জঞ্জির ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সেলিম খান ও অমিতাভ বচ্চন। ছবিতে অমিতাভের পাশাপাশি মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন জয়া বচ্চন ও প্রাণ। তাঁদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ছবি শোলে। ভারতীয় ছবির অন্যতম মাইলস্টোন এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সেলিম খান ও জাভেদ আখতার। জয়ের চরিত্রে অমিতাভ ছিলেন অনবদ্য। এছাড়াও দিওয়ার, মজবুর, ডন, ত্রিশূল, কালা পাথ্থর, দোস্তানাসহ সেলিমের লেখা বেশ কয়েকটি সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন।
সূত্র: জিনিউজ, টাইমস