টুইটারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চালু হয়েছে থ্রেড। চালু হওয়ার পরপরই সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্মটি। চালু হওয়ার মাত্র পাঁচদিনের মাথায় থ্রেডের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন অতিক্রম করে। কিন্তু এত ব্যবহারকারীর সংখ্যা যে ক্রমান্বয়ে কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে তা স্বীকার করেছেন মার্ক জাকারবার্গ নিজেই।
তিনি বলেন, ‘পাঁচদিনে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন পৌঁছে যাওয়ার অর্জনটি বড় নিঃসন্দেহে। সব ব্যবহারকারী যদি এ প্লাটফর্মে থাকে তাহলে তা চমৎকার কিছু হবে। সবাই না থাকলেও অন্তত অর্ধেক ব্যবহারকারীও যদি টিকে থাকে তাহলেও আমরা খুশি।’
এমন মন্তব্য মার্ক জাকারবার্গ থ্রেডের কর্মীদের জানিয়েছেন। সেই মন্তব্য রয়টার্সের বরাতে জানার সুযোগ পাওয়া গেছে। ব্যবহারকারী কমার বিষয়টি নিয়ে মেটার বস অবশ্য নারাজ নন। তিনি বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন। অ্যাপে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেকেই অ্যাপ থেকে সরে যাবেন এমনটা অনুমান করেছিলেন তিনি।
থ্রেড অ্যাপ উন্মুক্ত হওয়ার পর সামান্য ফাংশনালিটি রাখার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। মেটা তখন থেকেই ‘ফলোয়িং’ আর ‘ফর ইউ’ এরকম দুটো আলাদা ফিড তৈরি করে। ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে এই প্লাটফর্মের গভীর সংযোগ রাখা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা যেন ইনস্টাগ্রামে থাকার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ থ্রেড দেখতে পারে তার নিশ্চয়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ব্যবহারকারী কমলেও মেটার আর্থিক দৈন্য নেই। কোম্পানিটির আয় ঠিকই বেড়েছে। মেটাভার্সে তারা এত বিনিয়োগ করেও সফলতা পাচ্ছে না। কিন্তু চলতি বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেটার আয় বেড়েছে।
সূত্র: ইত্তেফাক