মেহেরপুর পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ড নতুন পাড়া/মাঠপাড়া এলাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন মো.সিদ্দিকুর রহমান (৮০) ও তার অসহায় পরিবার। অস্বচ্ছল পরিবারে স্ত্রী, মেয়ে, নাতি নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন তিনি। সিদ্দিকুর রহমান একই এলাকার মৃত করিম বক্সের ছেলে। অস্বচ্ছল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সিদ্দিকুর রহমান প্যারালাইজড গত আট মাস যাবত অসুস্থ হওয়ায় তার পরিবারে নেমে এসেছে অভাবের ঘোর আধাঁর।
মোয়াজ্জেম হোসেন এলাকায় একটি মসজিদে মোয়াজ্জেম হিসেবে ছিলেন। প্রতিমাসে মসজিদ থেকে পাওয়া সামান্য কিছু টাকা দিয়ে স্ত্রী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে ও এক নাতিকে নিয়ে কোন রকমে চলতো সংসার। তিনি এখন প্যারালাইজড হয়ে প্রায় আট মাস বিছানগত। মসজিদ থেকে যা টাকা পেতেন সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবারের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে জীবন যুদ্ধে কাটছে প্রতিটি প্রহর। ঘরে নেই খাবার। পরিবারে নেই কোন উপার্জনক্ষম মানুষ। নেই চিকিৎসা করার মতো টাকা। বাড়িতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে জরাজীর্ণ ঘরে অতিকষ্টে বসবাস করছেন।
এব্যাপারে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি অসহায় মানুষ। প্রায় আট মাস যাবৎ প্যারালাইজড হয়ে পড়ে আছি। এর আগে মসজিদে আযান দিতাম। মসজিদ কর্তৃপক্ষ সামান্য কিছু টাকা দিতেন তা দিয়েই কোনরকম সংসার চলতো। অসুস্থ হবার পর সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। সংসারে স্ত্রী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে, নাতিকে নিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। জরাজীর্ণ ঘর নেই বিদ্যুৎতের ব্যবস্থা। যেখানে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি ঘরে প্রবেশ করে। এ যাবৎ কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা আমি পাইনি।
আপনাদের কাছে অনুরোধ আমার একটু চিকিৎসা ও ঘরের ব্যবস্থা করে দিতেন। আমি শুনেছি অসহায় ও গরীবের জন্য প্রধানমন্ত্রী মুজিব শতবর্ষে স্থানীয় সাংসদ সদস্যের মাধ্যমে গৃহহীন মানুষকে একটি করে বসত ঘর দিচ্ছেন। আমাকেও যদি একটি ঘর দেওয়া হয় তাহলে আমার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারতাম।
স্থানীয়রা বলেন, সিদ্দিকুর রহমানের পরিবার অত্যন্ত গরীব ও অসহায়। তিনি অসুস্থ হবার পর থেকে পরিবারের সকলে আরও বিপদে পড়েছে।
একটি সরকারী ঘর হলে তাদের আবাসন দূর্দশা দূর হবে। তাই একটি ঘরটি দেয়ার ব্যাপারে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তিনি বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান।