কার ছালা ঘরে কে ক্ষেত বিছায়!
কে খেয়ে যায় শুকনো ঘাস,খড়!
ভোগের বিছানা পাতে পাগলীর নিরস দেহে!
বুভুক্ষু শ্রমিক অজান্তেই আওড়িয়ে দেয়!
তাবৎ শক্তি দেহের ভূধরে।ক্লান্তক্লিষ্ট পাগলী!
আকিজ বিড়ি ফুঁকে দিনরাতের শ্রমিক।
নেশায় মাতাল হওয়া ভোগের প্রসাদ মন ভরেছে জোয়ারের উচাটনে।অদ্ভুত খিদে!
রসূন কোয়ার মত এক যেন কামাতুরা মহল।
উঁচুনিচু ভেদ নেই চাকরানীও শয্যাসঙ্গী অব্যর্থ।
ইচ্ছে মতো নিষ্পেষন করেই সুখ দিব্যলোকে।
চুপচাপ সইয়ে যাওয়া;ওহ্ শব্দটিও নেই!
শাওয়ার ছেড়েই ধুয়ে মুছে পাপতাপের ছোঁয়া,
গোলাপ জলে ভিজে শরীর!মন বিক্ষুব্ধ সত্যে!
পবিত্রতায় নাজেহাল কাল বসন্ত যুগ যুগান্তরে।
পাগলীর অন্তঃযোজনায় নতুন উৎস!
চাকরানী কোন রকম এবার বেঁচে ফেরে!
কৃমির তলদেশে নির্বাক শিকার পঁচেই গেছে।
পাগলী হাসে কাঁদে কখনো খেয়ে না খেয়ে!
এক মুহূর্তের বিজলীর দাম সেই বয়ছে নয় মাস।
কী করবে পাগলী?কোথায় যাবে পরনে সুতো হীন কঙ্কাল বেয়ে ফুটে উঠেছে কুমড়োর গাল।
মাঝে মাঝে আকাশের দিকে তাকায় সে!
কার সাথে যেন তর্কে মাতে!কী বলে পাগলী?
অবশেষে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে থাকে আর্তনাদে!
চিৎকারের গন্ডি পেরোয় সাত ক্রোশের সমধিক।
ফুটফুটে কিশলয় উন্মুক্ত বিলাপের চাদরে!
ভোর হয় পাগলীর আঁতুড় চিলেকোটার কোণে।