বিসিসিআই’র পাঠানো প্রস্তুতির খসড়া অনুসারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রশিক্ষণ শুরুর আগে ভারতীয় ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের কমপক্ষে পাঁচ বার কোভিড-১৯ টেস্ট দিতে হবে। শুধু তাই নয়, তাদের সেই রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে। এছাড়াও আইপিএল চলাকালীন প্রতি পাঁচ দিন অন্তর এই পরীক্ষা করা হবে।
বিসিসিআই’র এক কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন। সকল ভারতীয় খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের ভারতে নিজ নিজ দলগুলির সঙ্গে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ডে যোগ দেওয়ার এক সপ্তাহ আগে ২৪ ঘন্টা আলাদা করে দু’টি কোভিড-১৯ অর্থাৎ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে।
যদি কোনও ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ এসে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে চলে যেতে হবে। ১৪ দিনপর তাঁকে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দু’বার কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবে সেই ব্যক্তি আইপিএলে যোগ দেওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমানে উঠতে পারবেন।
আইপিএলের ত্রয়োদশ সংস্করণ শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। চলবে ১০ নভেম্বর পর্য। আমিরাতে পৌঁছনোর পরেও খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফসহ সব কর্মীদের বায়ো বাবলের এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। তবে তার আগে প্রত্যেকের কোভিড-১৯ টেস্টের রিপোর্ট তিনবার নেগেটিভ আসতে হবে। এই প্রোটোকলটিতে দলগুলির প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে তবে, খেলোয়াড় এবং দলের কর্মকর্তাদের সুরক্ষায় কোনও আপস করা হবে না।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছনোর প্রথম সপ্তাহে খেলোয়াড় এবং দলের কর্মকর্তাদের হোটেলে একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না। তারা তিনবার নেগেটিভ আসার পর তা করতে পারে। এরপরে তারা টুর্নামেন্টের বায়ো বাবলে প্রবেশের জন্য ছাড় পাবে এবং প্রশিক্ষণ শুরুর অনুমতি মিলবে।
কিন্তু যে সব বিদেশী ক্রিকেটার সরাসরি আমিরাতে পৌঁছবেন, তাদের কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ওই কর্মকর্তা জানান, সকল বিদেশী খেলোয়াড় এবং সহায়তা কর্মীদেরও আমিরাতের বিমান ধরার আগে দু’টি কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষাগুলি নেতিবাচক হলেই বিমানে উড়তে পারবে৷ যদি না হয় তবে একইভাবে তাদেরও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবে হবে। পরে দু’টি নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আমিরাতের ফ্লাইট ধরতে সক্ষম হবে।
সূত্র- বিডি-প্রতিদিন