চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার আটকবর মোড়ে অবস্থিত আটকবর ক্লিনিক যেন কসাই খানায় পরিনত হয়েছে।
ক্লিনিকে সার্বক্ষনিক নিয়মিত কোন ডাক্তার না থাকলেও, ডিপ্লোমা কোন নার্স না থাকলেও কাগজে কলমে ঠিকই দেখানো হয় নিয়মিত ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্সের তালিকা।
ক্লিনিক হিসাবে যে সব শর্ত প‚রন করা প্রয়োজন তার অধিকাংশ শর্ত প‚রনে ব্যার্থ ক্লিনিক কৃতপক্ষ।ক্লিনিকের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র না থাকা সত্তেও ক্লিনিক খুলে বসে দেদারছে চলছে বিভিন্ন অপারেশন।
এ ক্লিনিকে অপারেশন করে ইউনিয়নের ঢোলমারী গ্রামের এক রোগী এখন মৃত্যুপথযাত্রী।নিজেদের রক্ষা করতে শেষ মেষ তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে ক্লিনিক কৃতপক্ষ। কিন্তু অসহায় রোগীটি দিনের পর দিন তীব্র যন্ত্রনা ভোগ করে একের পর একের অপারেশন করে সুস্থ হবার মারনপন চেষ্টা করছে।জগন্নাথপুর গ্রামের বজলুর স্ত্রী ইয়াসমিন এই ক্লিনিক থেকে পিত্তথলির পাথর,জরায়ুর অপারেশন করে ।
একটু সুস্থ হলেও কিছুদিন পর তার রোগ তীব্র আকার ধারন করে তারপর তাকে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অবশেষ সে গতকাল বৃজস্পতিবার রাজশাহীতে মারা গেছে।
তবে এ বিষয়ে ক্লিনিক কৃতপক্ষ ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে গোপনে মিমাংসা করায় শেষ পর্যন্ত মেয়ের বাবা আর ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেননি।এ বিষয়ে জানতে ক্লিনিক মালিক তাজমুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ক্লিনিকে পাওয়া যায়নি।
ক্লিনিক কৃতপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত প‚র্বক ব্যাবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল
-কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি