যৌথ চিন্তার মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের বিকল্প পথ অনুসন্ধানে সম্প্রতি গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো গণগবেষক সম্মেলন।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সহযোগিতায় গাংনী উপজেলা গণগবেষণা ফোরাম এই সম্মেলনের আয়োজন করে। গণগবেষণা সস্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আব্দুর রবের সভাপত্তিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এম খালেক। উদ্বোধন শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
গাংনী হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জমিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম প্রমুখ।
সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, গাংনী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২৫০টি গণগবেষণা সমিতির মাধ্যমে ১০ হাজার মানুষ সংগঠিত হয়ে গণগবেষণা পদ্ধতিতে স্থানীয় সমস্যা ও তার কারণ অনুসন্ধান করে ক্ষুধা এবং দারিদ্র থেকে মুক্তি জন্য নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ করে আত্মনির্ভশীলতা অর্জনের চেষ্টা করছেন। তারা ইতিমধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকার নিজস্ব তহবিল গড়ে তুলে নিজেদের আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতন, স্যানিটেশন, সরকারি সেবা প্রাপ্তি, সামাজিক সস্প্রীতি তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এই সস্মেলনে থেকে গণগবেষক প্রতিনিধিরাদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং নতুন নেতৃত্ব তৈরীর মাধ্যমে গণগবেষণা কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ যদি তার নিজের শক্তিকে আবিস্কার করতে পারে, সে যদি সংগঠিত হয়ে যৌথভাবে চিন্তা করে, নিজেরা নিজেদের সমস্যার কারন খুঁজে বের করে যৌথ উদ্যোগ নেয় তাহলে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আপনারা গণগবেষণার মাধ্যমে আজ দশহাজার মানুষ সংগঠিত। আপনার নিজেরাই নিজেদের ভাগ্যের কারিগর হয়ে উঠেছেন। আপনাদের নিজস্ব তহবিল হয়েছে, নিজস্ব বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।
আলোচলা সভা শেষে প্রধান অতিথি অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে গণগবেষকদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।