মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আমতৈল মানিকদিয়া গ্রামে আহত আরফান বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে বলে জানিয়েছে কুষ্টিয়া সরকারি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক।
তিনি রোগীর স্বজন উজ্জলকে আরও জানিয়েছেন তার ঘাড়ে ও গোপনাঙ্গের শীরাতে মারাত্মক আঘাত হওয়ার কারণে শুধু বাকশক্তিই নয় ধীরে ধীরে তার দৃষ্টি শক্তিও হারাতে পারে।
এর আগে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত আরফানের অবস্থার উন্নতি না হলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে একদিন রাখার পর চিকিৎসক আরফানের অবস্থার কোন ভাল খবর দিতে পারেনি।
গতকাল রবিবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আরফানের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন বলে জানান আরফানের স্বজনরা।
গত শনিবার দু’পরিবারের শিশুদের ভুত ভুত খেলা নিয়ে বাকবিতর্কতা শুরু হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে ঐ গ্রামের সাইফুন মাঠ পাড়ার আবুল কালামের ছেলে আরফানকে আদম ও তার স্ত্রী কল্পনা এবং আদমের ছোটভাই কদম সহ পরিবারের আরও অনেকে বাঁশ রড ইট দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক ভাবে জখম করে।
এ দিকে আরফানের স্বজন উজ্জল সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে বলেন আরফানকে আহত করার পর তার স্ত্রী বেলি খাতুনকেও মেরে ফেলার জন্য খুজতে থাকে। যার ফলে বেলি খাতুন ঘটনার দিন গা ঢাকা দিয়ে রবিবার ভোরে তার স্বামীর কাছে চলে যায়।
-গাংনী প্রতিনিধি