মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ক্লাস্টারের পঞ্চম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে আমঝুপি ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, প্রশ্ন কম্পোজকারী কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আজাহার আলী ও ইংরেজি শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন জড়িত আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নেয়ার সময় শিক্ষকের বইয়ের মধ্য থেকে পরীক্ষার তিন দিন আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নজরে আসে প্রধান শিক্ষক নাজমুল হকের। এ ঘটনায় পরীক্ষা স্থগিত করা হলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেছেন সিস্টেম খারাপের কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। তবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) শাহনাজ পারভীন ছুটি নিলে বৃহস্পতিবারের ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক। পাঠদানের সময় তিনি ইংরেজি বইয়ের মধ্যে প্রশ্নপত্রটি পান। বিষয়টি তিনি আমঝুপি ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম জয়নুল ইসলামকে অবগতি করেন।
এ বিষয়ে জয়নুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুর সদরের চাঁদবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশ্ন কমিটিতে দায়িত্ব থাকা রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের নিকট থেকে আমঝুপি ক্লাস্টারের ২৭টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ প্রশ্ন নিতে যান। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রেরিত প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে।
জয়নুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনায় পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মেহেরপুর সদরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের সিস্টেমই খারাপ, যে কারণেই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। ক্লাস্টারের দায়িত্বরতরা মনে হয়ে ছেলে-পেলেদের হাতে আগে থেকে প্রশ্ন দিয়েছে, তারাই হয়তো ফাঁস করেছে। তবে ওই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট মহল শিক্ষাব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং এই অপরাধের সাথে যারা সম্পৃক্ত, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।