জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু-কিশোরদের অনুষ্ঠানে যেতে না পেরে আফসোস করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দূরে আছি এটা ঠিক। আমার মনটা কিন্তু টুঙ্গিপাড়ার মাটিতেই পড়ে আছে। অবশ্যই খুব তাড়াতাড়িই টুঙ্গিপাড়ার আসব। তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে, তোমরা ভালো থেক সুস্থ থেক সেই দোয়া করি।
বুধবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত শিশু-কিশোরদের বক্তব্য শোনেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দূরে আছি এটা ঠিক। তবে তোমরা তো জানো ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি বলে দূরে থাকলেও অন্তত চোখের দেখাটা তো দেখতে পারছি, কথা বলতে পারছি তাই না? ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে তো আর এটা করতে পারতাম না। তো তোমরা টুঙ্গিপাড়ায় আছো, আর আমি এইটুকু বলতে পারি আমার মনটা টুঙ্গিপাড়ায়, হয়তো আমি এখানে বসে আছি। আমাদের রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য। কিন্তু সব সময় ১৭ই মার্চ আমি টুঙ্গিপাড়ায় থাকি, আমি আমার ছোট বোন রেহেনাও আছে। আমাদের দুজনেরই থাকার কথা, যেহেতু আমাদের অনেক বিদেশি অতিথি অনেক অনুষ্ঠান। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ঢাকায় এসেছেন তাকে নিয়ে অনুষ্ঠান হচ্ছে, সে কারণে আসতে পারলাম না। অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় আসবো। তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে তোমরা ভালো থাকো সুস্থ থাকো সেই দোয়া করি।
শিশুদের জীবনকে সুন্দর ও রঙিন করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ছোট শিশুদের জীবন আরও রঙিন, আরও সুন্দর, আরও সার্থক করে গড়ে তুলতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি এটাই চাই, আজকের শিশুরা সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে, জীবনটাকে সুন্দর করবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর স্কুল-কলেজে যেতে না পারায় শিশুরা যে কষ্টে আছে, সেটা উপলব্ধি করার কথাও জানান শেখ হাসিনা। ‘আমি বলব, তোমরা ছোট্ট সোনামনিরা, তোমরা ঘরে বসে পড়াশোনা কর এবং সেই সাথে খেলাধুলাও করবে। আমরা এটাই চাই যে খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা এগুলো একান্তভাবে অপরিহার্য। তোমরাই তো ভবিষ্যৎ, তোমরাই এদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, করোনার এই প্রাদুর্ভাব কেটে যাবে। স্কুল আমরা তখনই খুলে দেব। তোমরা স্কুলে যেতে পারবে। সেই সঙ্গে খেলাধুলাও তোমরা করতে পারবে এবং এখনও করতে পার।
বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের পাবলিক প্লাজার বকুলতলা চত্বরে মহিলা ও শিশু বিয়ষক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসার সভাপতিত্বে এই শিশু-কিশোর সমাবেশ হয়।