আলমডাঙ্গা উপজেলায় এক ড্রাগন চাষী চুরি ও পশুপাখি ঠেকাতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকা পড়ে শেখ আব্দুল হালিম (৫০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়নের মাজহাট এলাকার বাইলে মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শেখ আব্দুল হালিম ওই এলাকার মৃত শেখ মহিউদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা প্রস্তুতি চলছিল। ঘটনায় পর থেকেই ড্রাগন চাষী শাজাহান হোসেন মিরা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৪ বছর আগে মাজহাট গ্রামের বাইলে পাড়া মাঠে ড্রাগন চাষ করেন একই এলাকার শাজাহান হোসেন মিরা। চুরি ও পশুপাখি রোধে বাগানের চারিপাশে বৈদ্যুতিক তার বিছিয়ে রাখেন। আজ শুক্রবার সকালে নিহত শেখ আব্দুল হালিমসহ আরও দুজন প্রতিবেশী জিল্লুর রহমানের কলা বাগানে কাজ করতে যান। সকাল ১০টার দিকে হালিম পানি খাওয়ার জন্য ড্রাগন বাগানে যায়। এসময় ছিটিয়ে রাখা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এদিকে কৃষক আব্দুল হালিমের মৃত্যুর ঘটনায় ড্রাগন চাষী শাজাহান হোসেন মিরার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।
আব্দুল জব্বার নামের এক কৃষক জানান, কয়েক মাস আগে চুরি ও পশুপাখি রোধে বাগানের চারিদিকে বৈদ্যুতিক তার ছিটিয়ে রেখেছে। সার্বক্ষণিক ওই তারে বিদ্যুৎ থাকে। ড্রাগন মালিক কোন প্রচার কিংবা ব্যানার ফেস্টুন না লাগিয়ে মানুষ মারার ফাঁদ তৈরি করেছে।
আলমডাঙ্গা থানার (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, আজ শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিহত কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় তদন্ত চলছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।