আলমডাঙ্গায় ছেলের নামে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় পিতা আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুুলিশ। ছেলে আরাফাত ৩ বছর ধরে প্রেমিকার সাথে মেলামেশা করে বিয়ে না করায় গত ১৯ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী বিয়ের দাবীতে ওই বাড়িতে গেলে তাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় প্রেমিকা বাপ-ছেলের নামে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন । ওই মামলায় গত ২৬ ডিসেস্বর ছেলের পিতা আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে আরাফাতের সাথে এক কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর তাদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দেখা ও কথা বার্তা হয়েছে। এক পর্যায়ে আরাফাত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে । তাকে ব্লাক মেইল করে তার নিকট টাকা দাবী করে আসছিল। টাকা দিতে না চাইলে আরাফাত বিয়ে করবে না বলে জানায় । কয়েকদিন আগেও আরাফাত মিথ্যা কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে । এ সময় প্রেমিকার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও আরাফাত রেখে দেয়। এরই মাঝে প্রেমিকা জানতে পারে তার প্রেমিক তাকে বিয়ে না করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করছে। এ সংবাদ শুনে ওই কলেজছাত্রী গত ১৯ ডিসেম্বর প্রেমিক আরাফাতের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান নেয়। পরে আরাফাতের পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেয়।
এ ঘটনার পর প্রেমিকা কলেজছাত্রী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় প্রেমিক আরাফাত ও তার পিতা আশরাফুল ইসলামকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আলমডাঙ্গা থানার এসআই কাজী সামসুল আলম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। আজকেই তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় জেল হাজতে প্রেরন করেছে।