আলমডাঙ্গার মাদারহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল লেভেলের ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান্ট (স্লিপ) ফান্ডের ৭০ হাজার টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। তিনি ওই টাকার কাজ না করে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও)র যোগসাজসে এ অর্থ লোপাট করেছে বলে এমন অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। আবার সেগুলো শিক্ষা অফিসে দাখিল করা হয়েছে স্কুল কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে।
এছাড়া গত ২০২১-২২ ও ২০২২-২০২৩ সালের স্লিপ ফান্ডের টাকার কাজ না করেই তৈরি করা হয়েছে ভুয়া ভাউচার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই প্রতিষ্ঠানের এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা: দিলরুবা খাতুন বিল ভাউচার ও তথ্য দিতে রাজি হয়নি। তিনি উপজেলা সহকারী শিক্ষক (এটিও)র বখতিয়ার হোসেনের সাথে ফোন ধরিয়ে দেন।
এলাকাসুত্রে জানাগেছে, উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মাদারহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে স্কুল লেভেলের ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান্ট (স্লিপ) ফান্ডের ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা খাতুন কাজ না করে ভুয়া রশিদে টাকা আত্নসাৎ করেন। আত্নসাতের ওই টাকা ভাগাভাগি করে নেয় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বখতিয়ার হোসেন ও প্রধান শিক্ষক দিলরুবা খাতুন। এনিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের নিকট এমন অভিযোগে সরেজমিন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক দিলরুবা খাতুন বরাদ্দ ৭০ হাজার টাকা কোন রশিদ দেখাতে পারেনি।
এবিষয়ে মাদারহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বলেন, প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির মিটিং বাদেই তিনি একক ভাবে ভুয়া রশিদ করে বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্নসাৎ করেন। তিনি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের ক্ষমতা ব্যবহার করেন। এমন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূবক ব্যবস্থার দাবি করেন।
মাদারহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা খাতুন বলেন, আমি সব কাজ করেছি। বরাদ্দের টাকা আত্নসাত করিনি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট বরাদ্দকৃত খরচের বিল ভাউচার দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেনি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) বখতিয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিভিন্ন তালমাতাল কথা বলেন। এছাড়াও তিনি বরাদ্দকৃত টাকা খরচের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।