আমাকে গোসল করাবা দোকানের মধ্যে যেটি হোটেল হিসেবে আছে। আমার কাপড় চোপড় ইত্যাদি যা আছে, তোমার কাজে লাগলে নিবা। তা না লাগলে গরীব কাউকে দিয়া দিবা। তোমাকে আমি ফোন দিব ফজরের নামাজের পর। এভাবে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন আবু সাবের (৫৫) নামের এক হোটেল ব্যবসায়ী।
গতকাল রবিবার রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস গ্রামে তার একটি হোটেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছেন। নিহত আবু সাবের খুলনা জেলার সিটি কর্পোরেশন এলাকার বানিয়া খামার বাড়ির সোনাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ বছর আগে পারিবারিক বিরোধের কারণে নিহত আবু সাবের খুলনা থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস গ্রামের পূর্ব পরিচিত হাবিবুর ফকিরের বাড়িতে ওঠেন। তিনি কিছুদিন তার বাড়িতে থাকায় তাদের পারিবারিক ঝামেলা দেখা দেয়। এরই একপর্যায়ে আবু সাবের হাবিবুর ফকিরের বড় ভাই আশানুর ফকিরের বাড়িতে ওঠেন। তার বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করছিল। আশানুর ফকিরের দেওয়া জায়গায় গত ৬ মাস আগে সে চা, কফি ও হোটেল নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন। গত শনিবার রাতে ১৬ পৃষ্ঠার একটি খাতায় তার মান অভিমানের কথা লিখে এক যুবকের কাছে দেয়। তাকে জানায়, গতকাল রবিবার সকালে আশানুর ফকিরের ছেলে মিজানের নিকট খাতাটি দিবে।
তারা আরও জানান, গত শনিবার রাতে সবাই বাড়িতে চলে গেলেও আবু সাবের তার ওই হোটেলেই ছিল। রবিবার সকালে দোকান বন্ধ দেখে স্থানীয়রা ডাকাডাকি করে। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযোগীতায় হোটেলের দরজা ভেঙে আবু সাবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী দাবি করে, খাতায় ১৬ পৃষ্ঠায় লেখা তার মান-অভিমানের কথা লেখা থাকলেও ঝুলন্ত লাশ দেখে মনে হচ্ছে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
খবর পেয়ে থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হোসেন ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহার রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন।
এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্টও নেওয়া হয়েছে। এঘটনায় নিহত বৃদ্ধার আত্নীয়রা এসে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।