আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড মেডিকেল সেন্টারে অপারেশনের পর প্রসুতি মাতার মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার ৩ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এহসানুল হক তন্ময়ের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত টিম ওই ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের রায়পাড়া গ্রামের রহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের প্রসব বেদনা দেখা দিলে তাকে আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
ক্লিনিক মালিক নাজমুল ডাক্তারের পরামর্শে রোগীকে রাত ৮টার দিকে তুহিন অপারেশন করার পর একটি ছেলে বাচ্চার জন্ম হয়। কিন্তু প্রসূতি মাতা পেসার বেড়ে যায়। পেশার কমানোর জন্য ইনজেকশন পুশ করা হলে রোগী মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ সময় তাকে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে কুষ্টিয়ায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। কুষ্টিয়াতে নিয়ে গেলে ডাক্তার রোগীকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এদিকে রোগীর স্বজনদের দাবী ওই ক্লিনিকেই রোগীর মৃত্যু হয়। মরা রোগীকে তারা তড়িঘড়ি করে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়েছে। এদিকে লাশ ফিরিয়ে এনে রাতে রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকের সামনে জড়ো হয়ে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর জন্য ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃক্ষের বিচারের দাবী করেন।
রাতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দাবী কার্ডিয়াক সমস্যার কারণে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে কুষ্টিয়ায় রেফার করা হয়। এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছে, রাতে লাশ নিয়ে রোগীর স্বজনদের বিক্ষোভের সময় তাদের সাথে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে আপোষ করেছে।
এ ঘটনাটি বিভিন্ন পত্রিকা ও ফেসবুকে ভাইরাল হলে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনের দৃষ্টি গোচর হয়। ঘটনাটি তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এহসানুল হক তন্ময়কে প্রধান করে ৩ সদস্যে বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়।
গতকাল শনিবার ওই তদন্ত টিম ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সামায়ক বন্ধ ঘোষনা করেন।
মেপ্র/আরপি