আলমডাঙ্গার কুমার নদে প্রায় তিন কিলোমিটার বাঁধ অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডাউকি ইউনিয়নের হাউসপুর থেকে বকসিপুর ব্রিজ পর্যন্ত দখল কবলে পড়া এ নদীর বাঁধ অপসারণ করে। বাঁধ অপসারণের পরেই জিকে প্রকল্পের পানি কুমার নদে ছেড়ে উন্মূক্ত করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন পর উন্মূক্ত হলেও খুশি স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা অংশে একটি মাথাভাঙ্গা নদী ও দুটি কুমার নদ ও ভাটুই নদ। বর্তমানে মাথাভাঙ্গা নদী জলস্রোত অব্যাহত থাকলেও নদ দুটি প্রায় মৃত। দখল ভরাটের কবলে নাব্যতা হারিয়েছে অনেক আগেই। খননের অভাবে নদ দুটি খালে পরিণত হয়েছে।
বিগত দিনে এ দুটি নদ জলস্রোতের কারণে নৌকা ও ছোট-বড় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করতো। দেশীয় মাছের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হতো এ নদ থেকে। বর্তমানে নদী শাসনের অভাবে ও ক্ষমতাসীনদের দখলের কারণে নদটি আজ বিলীন। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা সীমানায় প্রায় ৩৩ কিলোমিটার কুমার নদ।
বকসিপুর গ্রামের প্রবীন ব্যক্তি আব্দুর রহিম বক্স বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এ কুমার নদটি। এ নদটির উৎপত্তি স্থল হাটবোয়ালিয়ার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে। যা মিলেছে চিত্রা নদীতে। বর্তমানে মাথাভাঙ্গা নদী আজও ইতিহাসে স্বরনীয় হয়ে আছে। কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী কুমার নদ।
দীর্ঘদিন পর হলেও বাঁধ অপসারণের মাধ্যমে আবারো দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপন্নের পাশাপাশি পূর্ণরায় নদকে খনন করলে আবারো সেই জলস্রোত ধারার কুমার নদ তার আপন গতি ফিরে পাবে।
বর্তমানে আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষি সরবরাহকৃত পানি জোগান দেয় কুমার নদ। জিকে সেচ প্রকল্পের পানির মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা হিসাবে পরিচিত উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ নির্ভর। কুমার নদ দখল করে কিছু অসাধু ক্ষমতাসীন ব্যাক্তিরা মৎস্য চাষের খামার তৈরি করেছে।
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে কুমার নদের বাঁধ অপসারণ করে উপজেলা প্রশাসন।