আলমডাঙ্গার খাদিমপুর গ্রামের একটি পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে গলিত একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পচেগলে যাওয়ায় লাশটি শনাক্ত করা যায়নি। তবে দুই মাস আগে নিখোঁজ হওয়া খাদিমপুর গ্রামের আলমঙ্গীর হোসেনের লাশ বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাদিমপুর গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের পুকুরে মাছ ধরার আগে কচুরিপানা পরিস্কার করার সময় গলিত ও লাশ চোখে পড়ে। পুলিশ খরব পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর খাদিমপুর গ্রামের কাতব আলীর ছেলে আলমঙ্গীর হোসেন হঠাৎ করে নিখোঁজ হন। তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ২১ নভেম্বর তাঁর বড়ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন আলমডাঙ্গা থানায় একটি জিডি করেন। এরপর থেকে আলমঙ্গীর হোসেনের কোন খোঁজ মেলেনি। শুক্রবার দুপুরে পুকুরের কচুরিপানার নিচে গলিত লাশ পাওয়া যাওয়ায় লাশটি আলমঙ্গীর হোসেনের বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে জানান, খাদিমপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে শিপন আলমঙ্গীরকে হত্যা করে গুম করে থাকতে পারে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, আলমঙ্গীর গরু তাজামোটা করণের ব্যবসা করতো। তার কাছে সব সময় টাকা থাকতো। আলমঙ্গীর নিখোঁজের পরদিন শিপন একটি মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এসময় তার কাছে নগদ ৫৬ হাজার টাকাও উদ্ধার হয়। শিপন পরিকল্পিতভাবে আলমঙ্গীরকে হত্যা করে কচুরিপানার নিচে গুম করে রাখে বলে জাহাঙ্গীরের অভিযোগ।
আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আলমঙ্গীর কবির জানান, এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। লাশের ডিএনএ টেস্ট করার পর জানা যাবে মৃত দেহটি আলমঙ্গীরের কি না। তবে পুলিশ এ বিষয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছে।