চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সহ বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত জেলার বিভিন্নস্থান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম বিপ্লব, সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক আশাদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাজেদুল ইসলাম মেহেদী।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফুজ্জামান সিজার বলেন, আমাদের চুয়াডাঙ্গায় কোন প্রোগ্রাম নেই। ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের কোন দিক নির্দেশনা ও আসেনি আমাদের কাছে। এরই মাঝে হঠাৎ করেই আমাদের নেতাকর্মীদের ধড়পাকড় শুরু করেছে পুলিশ। রাতে আমার বাড়িতেই রাতে পুলিশ এসেছিল। সব মামলায় আমরা জামিনে আছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার নতুন করে প্রক্রিয়া করছে আমাদের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা দিয়ে জেলে রেখে ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ কেউ যেন এগুতে না পারে। আমরা আগে থেকেই শুনছি বিভিন্নস্থানে পটকা ফুটিয়ে আমাদের নামে দোষারোপ করছে পুলিশ। আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, শনিবার রাতে পুলিশ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদকসহ বিএনপির ৪ নেতাকর্মী আটক করেছে। থানাতে খোজ নিয়ে দেখেছি এদের নামে কোন মামলা নেই। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে বিএনপি ও অঙ্গসংঘঠনের নেতৃত্ব পর্যায়ে নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। পুলিশ বাদি হয়ে গায়েবি মামলা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে শুনছি। এই গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আইনশৃংখলা রক্ষার ক্ষেত্রে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। সেই আলোকেই তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটকদের নিকট থেকে যা কিছু উদ্ধার হয়েছে সেই আলোকেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে।