আলমডাঙ্গার ছোট-পুটিমারী গ্রামের মাদক সম্রাট শামিম খন্দকারকে আটক করেছে পুলিশ। গত ১৪ এপ্রিল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ছোটপুটিমারী মাদ্রাসার নিকট ভূট্টা ক্ষেতের মধ্যে থেকে আটক করে। তার নিকট থেকে ২০ পিস ইয়াবা ও ৪০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে।
এলাকাসূত্রে জানাযায়, উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন মানেই মাদকের অভায়রণ্য। বিভিন্ন গ্রামে সহজেই মিলতো চোলাই মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেট। বর্তমান আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথের উদ্যোগে ওই ইউনিয়ন জুড়ে চলমান মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশ। অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে জেহালা ইউনিয়ন। মাদক সেবনকারীরাও স্বাভাবিক জিবনে ফিরতে শুরু করেছে। তবে ছোট-পুটিমারী গ্রামের মৃত খন্দকার আবু সাইদের ছেলে সামিম খন্দকার গোপনে রমরমা ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রয় করে আসছে। পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়েও সে থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে।
গত শুক্রবার রাতে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশের নিকট সামিমের বিরুদ্ধে গোপনে মাদক বিক্রয়ের তথ্য আসে। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথের নির্দেশে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ির আইসি এসআই তাপস কুমার ও এএসআই শিপন মিয়া। ছোট-পুটিমারী গ্রামের মাদ্রাসা সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতে রাস্তার উপর থেকে তাকে আটক করে। তার শরীর তল্লাশী করে ২০ পিস ইয়াবা ও ৪০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে সামিমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুন্সিগঞ্জ এলাকার মাদক সম্রাট সামিমের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানাসহ বিভিন্ন থানায় এক ডজন মাদক মামলা রয়েছে। তিনি ইতিপূর্বে বিভিন্ন মাদক মামলায় কারাভোগ করেছে।