আলমডাঙ্গার পৌর শহরের জিসান টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে ৩ যৌন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য ওই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
গত শনিবার রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের দারুস সালাম মোড়স্থ জিসান টাওয়ারের ৫ম তলা থেকে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের মোনাকষা গ্রামের আনোয়ারের ছেলে আরজান। তিনি কাঁচামালের আড়ৎ ব্যবসায়ী।
দীর্ঘদিন আড়ৎ ব্যবসার আড়ালে পৌর এলাকার গোবিন্দপুর পালপাড়ার মৃত খাদেমুল হকের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন ও মেয়ে সজিনার মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলের উঠতি বয়সি মেয়েদের মাধ্যমে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করছে।
তারা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে এ পতিতা ব্যবসা পরিচালনা করছে। ইতোপূর্বে গত ১ মাস পূর্বে স্থানীয়রা ওই বাড়িতে পতিতাসহ এক যুবককে আটক করে।
মানোয়ারা ও সজিনা খাতুন গত ২ মাস পূর্বে পৌর শহরের জিসান টাওয়ারের বাসা ভাড়া নেয়। টাওয়ারের ৫ম তলায় উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করে আসছে। শনিবার রাত ১০ টায় মোনাকষা গ্রামের কাঁচামালের আড়ৎ ব্যবসায়ী আরজান পৌর এলাকার এরশাদপুর গ্রামের আতিয়ারের মেয়ের সাথে দৈহিক ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩ যৌন কর্মীকে আটক করে। এসময় কৌশলে আরজান ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
আটকৃত নারীরা হলো- গোবিন্দপুর পালপাড়ার মৃত খাদিমুল হকের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (৫০), মীরপুর থানার ইশেলমারি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে রিতা খাতুন (২১), পৌর এলাকার এরশাদপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের মেয়ে রিয়া খাতুন (২১)।
এঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় অনৈতিক ঘটনায় ২৯০ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। গতকাল রবিবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট মামলা আদালতে সোর্পদ করা হয়।