আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুল।
রবিবার বিকেলে নাগদাহ গ্রামস্থ তার নিজস্ব বাসভবনের সামনে এক জনাকীর্ণ পরিবেশে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল উল্লেখ করেছেন যে, আসন্ন ১১ নং নাগদাহ ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার নির্বাচনী প্রতীক চশমা। নির্বাচনে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে নৌকার প্রার্থী হায়াত আলী ও তার সমর্থকেরা বিভিন্ন হুমকি-ধামকিসহ তার (স্বতন্ত্র প্রার্থী) নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করছে।
গত ১১ মার্চ শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার সময় নৌকার সমর্থকেরা দা, লোহার রড ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইউনিয়নের জহুরুলনগর গ্রামে তার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। এ সময় জহুরুলনগর গ্রামের রিন্টু, সহিদুল ও মোবারেক নামের তার তিন সমর্থককে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। এছাড়াও আরেক সমর্থক বুদোইকেও মারধর করে জখম করে।
তিনি বলেন, জহুরুলনগরে সংঘটিত ঘটনার পর ওই রাতে নৌকার সমর্থকেরা আরো সংগঠিত হয়ে ইউনিয়নে তার (স্বতন্ত্র) বিভিন্ন নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জহুরুলনগর গ্রামের তার (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সমর্থকেরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। তারা বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নাগদাহ ইউপি নির্বাচন আদোও সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে তিনি আশংকা প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তার সুদৃষ্টি এবং এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের পিতা বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগের নেতা নজরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার সোনা মিয়া, খাজাউদ্দিন, মানিক মিয়া, গোলাম মোস্তফা, বুলবুল জোয়ার্দ্দার, বাক্কা জোয়ার্দ্দার, পিন্টু মন্ডল, মজিবর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক ও সুরুজ হোসেনসহ গ্রামবাসি।