আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ভর্তি ও ফরম ফিলাপের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরে দুই শিক্ষক বিদ্যালয়ের রশিদ ছাড়া টাকা উত্তোলন করে এ টাকা আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলজার হোসেন বাদল ও খায়রুল বাশারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বকুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ে জাফর আলী নামে একজন হিসাবরক্ষক নিয়োজিত আছেন।
কিন্তু সহকারি শিক্ষক গোলজার হোসেন বাদল ১৯ শত ৫০ টাকা ও খায়রুল বাশার ৩ হাজার টাকা প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে থেকে ভর্তি ও ফরম ফিলাপ বাবদ টাকা উত্তোলন করেন।
সেই টাকার কোন হিসাব স্কুলে দীর্ঘদিন না দিলে গত বুধবার স্কুলের হিসাব নিকাশ করতে গিয়ে উক্ত টাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।
এবং দুই শিক্ষক টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে উক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গোলজার হোসেন বাদলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সহকারী শিক্ষক খায়রুল বাশার টাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঘটনাটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার শীল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি