এসএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়ার পর ঢাকার নটরডেম ও সেন্ট জোসেফ কলেজে মেধা তালিকায় এইচএসসিতে ভর্তির সুযোগ পেয়ে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে আলমডাঙ্গার চার কৃতি শিক্ষার্থী। চলতি অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষায় এই চার শিক্ষার্থী একই সাথে ঢাকার নটরডেম, সেন্ট জোসেফ ও রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়।
নটরডেম কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রোহান কলেজপাড়ার রাকিবুল ইসলাম তুহিনের ছেলে, নোবেল বাবুপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং রাইসুল মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হকের ছেলে। রাইসুল ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ঢাকার সেন্ট জোসেফ কলেজে। এই তিনজনই আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। আর সাকিব আহমেদ আলমডাঙ্গার অন্যতম বিদ্যাপীঠ আল-ইকরা ক্যাডেট একাডেমীর শিক্ষার্থী। সে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে নটরডেম কলেজে।
অপরদিকে, সারা বছর প্রচার প্রচারনায় থাকা ব্রাইট মডেল স্কুলের কোন শিক্ষার্থী বরাবরের মত এবারও কোন নামকরা কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়নি। এ বিষয়ে শহরের চায়ের দোকানগুলোতে সচেতন অভিভাবকদের মাঝে স্কুলের পড়াশোনার মান নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আল-ইকরা ক্যাডেট একাডেমীর ছাত্র সাকিব আহমেদ ক্লাস ফাইভ, এইট ও এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এর মধ্যে এইটে উপজেলার সেরা ও এসএসসিতে জেলার সেরা মেধা তালিকায় স্থান পায়। সাকিব এসএসসিতে আবার বোর্ডের ট্যালেন্টপুলেও বৃত্তি পেয়েছে।
পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র রোহান, নোবেল ও রাইসুল তিনজনই ক্লাস ফাইভ ও এইটে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পায়। এসএসসিতেও রোহান ও নোবেল বোর্ডের সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে।
সাকিব জানায়, সে আগামীতে দেশসেরা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। পড়তে চায় বুয়েটে।
রোহান ও নোবেল এই দুইজনও ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। তারাও বুয়েটে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছে। অপরদিকে, রাইসুল হতে চায় ডাক্তার।