আলমডাঙ্গা উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যা মামলার আসামী ফোন্টু মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতে এ রায় দেন। তিনি উপজেলা আইলহাঁস ইউনিয়নের পোলবাগুন্দা গ্রামের বাসিন্দা।
আলমডাঙ্গা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশিকুল হক চলতি বছরের ৩১ মে ওই হত্যার ঘটনায় চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে। এরপর বিচারক নিহত ডালিয়ার ছেলেসহ ১৬ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। ফোন্টু মণ্ডল আলমডাঙ্গা উপজেলার মৃত ইসলাম মন্ডলের ছেলে।
হত্যার ৬ মাসের মাথায় রায় ঘোষণা করায় রাষ্ট্রপক্ষ, মামলার বাদি ও স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কোট কাস্টডিতে নেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন জানান, ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার পোলবাগুন্দা গ্রামের ফোন্টু মণ্ডল তার স্ত্রী ডালিয়া খাতুনকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন রাতে ফন্টু বাড়ি ফিরে আসেন, কিন্তু তার স্ত্রী ডালিয়ার খোঁজ পাই না। পরিবারের সদস্যরা ডালিয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি নানান বাহানা করেন। পরদিন সকালে কোঁদাল নিয়ে ফোন্টুকে ফিরে আসতে দেখে লোকজনের সন্দেহ হয়। তার এলোমেলো কথা বলায় বাড়ির লোকজন ডালিয়াকে খুঁজতে বের হয়। একপর্যায়ে পোলবাগুন্দা মাঠের বিলের পাশে রক্ত ও চুল দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর । পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গাবতলা মাঠের মিলন আলীর সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভেতর থেকে ক্ষতবিক্ষত ডালিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। পালিয়ে যাবার চেষ্টা কালে স্থানীয়রা সরোজগঞ্জ বাজার থেকে ফোন্টুকে আটক করে পুলিশে দেয়। ওই দিন রাতেই নিহতের ছেলে জামিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।