নাসিমা বেগম ৫ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। জ্বরের সাথে ঠান্ডা-কাশি ও শ্বাসকষ্টও রয়েছে। বাড়িতে তার ছোট ছেলেও জ্বরে পড়েছে। কিন্ত তিনি কোন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে যাননি। মোবাইলে গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খাচ্ছেন। এখন কিছুটা ভাল বোধ করছেন।
নাসিমা বেগমের মত রহিদুল ইসলামও তিনদিন হচ্ছে জ্বরে পড়েছেন। তার প্রচন্ড ঠান্ডা ও কাশি রয়েছে। তিনিও চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে থেকেই ঔষধ খাচ্ছেন। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কেবল গলার স্বরটা ভেঙে গেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নাসিমা বেগম ও রহিদুল ইসলামের মত আলমডাঙ্গার প্রায় বাড়িতে বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত মানুষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। এবং তাদের প্রায় সবাই বাড়িতে ঔষধ পথ্য খেয়েই সেরে উঠছেন। কেউ কেউ স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে বেশীরভাগই করোনা হতে পারে এই ভয় থেকে বাড়িতে শুয়ে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা হাসপাতালমুখি হচ্ছেন না।
এই জ্বরকে কোন মতেই বৈশ্বিক মহামারি করোনার সাথে মেলাতে রাজি হচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, এটা ভাইরাল জ্বর। সাধারনত কিছু ঔষধ সেবনের মাধ্যমেই এই জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। কাজেই এটাকে নিয়ে আতংকের কিছু নেই।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাদি জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই সময় প্রতি বছরই মানুষ ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হন। এটার সাথে করোনাকে মিলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। কিছু ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।