আলমডাঙ্গায় গত দুইদিনে তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার আলমডাঙ্গার মধুপুর গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবতী ও বৃজস্পতিবার পাঁচকমলাপুরের সিহাব ও একইদিন জগন্নাথপুর গ্রামের সাবিহা খাতুন (৭৮) আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের দিনমজুর আলমঙ্গীর হোসেনের মেয়ে আখিঁ খাতুন (১৯)। গত তিন মাস আগে পার্শবর্তী ইবি থানাধীন রাধানগর গ্রামের ইমরান হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে দেখাশুনা করে বিয়ে হয়। বিয়ের আগেই ওই যুবতীর জরায়ু রোগে আক্রান্ত ছিল। এনিয়ে স্বামীর ও তার পরিবারের সাথে মনোমালিন্য চলছিল। সে বর্তমানে মধুপুর গ্রামে তার পিতা আলমঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে থাকতো। গতকাল শুক্রবার আখিঁ রোজায় থাকার কারণে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। এসময় পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতিতে ঘরের আড়াই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ-দিকে সিহাব আলী (১৮) নামের এক কলেজপড়ুয়া ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে পাঁচকমলাপুর গ্রামে তার নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।
পরিবার জানায়, বাড়ির কবুতর বিক্রি নিয়ে নিহত সিহাব আলীর সাথে তার মায়ের ঝগড়া হয়। রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমাতে যায়। মাঝ রাতে তার পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নিতে গেলে সিহাবের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। তারা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া আলমডাঙ্গা উপজেলা জগন্নাথপুর গ্রামে সাবিয়া খাতুন (৭৮) নামের এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃদ্ধা সাবিয়া খাতুন বয়সের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিল। তার পরিবারের লোকজনও তেমন তাকে দেখাশোনা করত না। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ শোবার ঘরে শাড়ি পেঁচিয়ে তিনি আত্নহত্যা করে।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া জানান, দুদিনে তিনজন আত্নহত্যা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন । এছাড়া তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক অপমৃত্যু মামলা করেছে।