আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চার ইউপি সদস্যকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে অত্র পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান চঞ্চলের বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার চত্বরে এঘটনা ঘটে। আহত চার ইউপি সদস্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী চার ইউপি সদস্যসহ ইউনিয়নের আরও ছয় ইউপি সদস্য সম্মিলিত হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আহত চার ইউপি সদস্যরা হলেন, বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ঠাণ্ডু মণ্ডল, ৩ নং ওয়ার্ডের শামিম রেজা, ৪ নং ওয়ার্ডের শাহাদত হোসেন ও ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন মণ্ডল।
ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আমরা ২১ মাস বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান চঞ্চলের নির্যাতনের স্বীকার। এই যাবৎ আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবামূলক কাজ থেকে বঞ্চিত। ইউনিয়ন পরিষদের কোন মাসিক মিটিং হয় না, সচিব আমাদের কোন নোটিশও পাঠান না।
ইউনিয়ন পরিষদে সরকার কর্তৃক যে অনুদান আসে আমরা মেম্বরগন জানতে পারি না। এযাবৎ মেম্বারগন ইউনিয়ন পরিষদের কোন সম্মানীয় ভাতা পায়নি এবং ওয়ার্ডের কোন উন্নয়নমূলক কাজ মেম্বারদের করতে দেয় না। সে তার কর্মীদের নিয়ে কাজ করে।
গতকাল সোমবার আমরা জানতে পারি সরকারী অনুদান (কৃষকদের ভর্তুকি) এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে দুপুরে চারজন শামীম মেম্বার, শাহাদত মেম্বর, হারুন মেম্বার, ঠাণ্ডু মেম্বার আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসে যায়। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান, তার গাড়ি চালক সাবেক ইউপি সদস্য বিপ্লব ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আমাদের চারজনের উপর মারধর ও নির্যাতন চালায়। এছাড়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চেয়ারম্যান নিজেই। একজন ইউপি সদস্যদের একটি হাত ভেঙ্গে গেছে।
এছাড়াও খবর পেয়ে ছয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।