আলমডাঙ্গায় মা নার্সিং হোমে সিজারের ৩দিন পর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গলাই দুধ আটকিয়ে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহলেয়া শিশুর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগে ক্লিনিক ভাংচুর করেছে উত্তেজিত জনতা। পুলিশের উপস্থিতিতে পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর রেলগেট এলাকার ওল্টুর স্ত্রী মনিরা খাতুন (২৭) এর প্রসব বেদনা শুরু হলে গত বৃহস্পতিবার ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পশুহাট এলাকার মা নার্সিং হোমে তাকে ওইদিন রাতে ভর্তি করা হয়। গত শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে ডাঃ লিফা নারসিস চৈতালি ও ডাঃ আব্দুস সালাম গর্ভবতী মনিরা খাতুনের সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশু সন্তান ভূমিষ্ঠ করান। গতকাল মঙ্গলবার শিশু ও তার মা মনিরা খাতুনকে সকালে বাড়ি যাবার জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ছিলো। গত সোমবার দুপুর থেকেই শিশুর হঠাৎ শরীর খারাপ হতে থাকে। শিশুর পরিবারের লোকজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ হাবিবুর রহমান হাবিবকে দিয়ে চিকিৎসা করেন।
এছাড়াও, ক্লিনিকে দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা শিশুকে চিকিৎসা প্রদানের এক পর্যায়ে গতকাল সন্ধ্যায় শিশুটি মারা যায়। ক্লিনিক কর্তপক্ষের অবহেলায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তুলে এলাকার লোকজন ভাংচুর শুরু করলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আলমডাঙ্গা থানার এসআই আমিনুল, এসআই সিদ্ধার্থ মন্ডল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।
এ ঘটনায় ক্লিনিক মালিক জালাল হোসেন জানান, শিশুর পরিবারের লোকজনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। তিনি সন্ধ্যার আগেও শিশুর অবস্থা উন্নতি দেখে এসেছে। শিশুর মায়ের দুধ শ্বাস নালিতে আটকিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা ধারনা করছি। আমাদের চিকিৎসায় কারণে শিশুর মৃত্যু হয়নি।
এ ঘটনায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, গত পরশু শিশুকে আমি চিকিৎসা দিয়েছি। তার তেমন কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু মৃত্যুর যে বিষয়টি এটি শিশুর পরিবারের ভুলের কারণেই মারা গেছে। তারা পরিমাণ মত খাবার বাচ্চাকে দেয়নি এবং গতকাল বাচ্চাকে যখন অতিরিক্ত দুধ খাওয়ায় তখন দুর্ঘটনাবশত শ্বাস নালিতে প্রবেশ করে বাচ্চাটি মারা যায়।