আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মুসল্লিদের মিছিল করার ঘটনাও ঘটে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ওইসব ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানা গেছে, হারদী ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের জামে মসজিদে দীর্ঘদিন যাবৎ কোন পরিচালনা কমিটি না থাকায় গ্রামের মুসল্লিরা সম্প্রতি কমিটি গঠনের উদ্যেগ নেন। এ নিয়েই বাঁধে ফ্যাসাদ। গ্রামের লালন আলীর পুর্ব পুরুষরা মসজিদের জমি দান করে যাওয়ায় তারাই মসজিদের সবকিছু দেখভাল করে আসছিলেন।
সম্প্রতি গ্রামে মসজিদের জন্য নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে বাঁধা দিতে থাকে লালনের পরিবার। কমিটিতে তারা আসতে চান। কিন্ত গ্রামের মুসল্লিরা শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে মসজিদ চত্তরে বসে ওমর মালিথাকে সভাপতি ও আব্দুল মজিদকে সাধারন সম্পাদক করে একটি পরিচালনা কমিটির ঘোষনা দেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে পড়ে লালনের পরিবার। লালন সরাসরি মসজিদে এসে নব গঠিত কমিটি না মানার ঘোষনা দেন। এবং হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন।
মুসল্লিরা সময় হয়ে যাওয়ায় নামাজে দাঁড়িয়ে পড়েন। ইমাম নাামজ শুরু করে দেন। এ সময় লালনের বাড়ির ছাদ থেকে মসিজদকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু হয়। এভাবেই নামাজ শেষ হয়। এরপর মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বেরিয়ে লালনের বিরুদ্ধে মিছিল বের করেন। মুহুর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু‘পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে প্রাগপুর ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে আনে।
ক্যাম্পের আইসি এসআই আমিরুল ইসলাম জানান, মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ বিরোধে জড়িয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হয়েছে।
মসজিদের ইমাম মৌলানা ইব্রাহিম জানান, একটি পরিবার সব সময় মসজিদের নিয়ন্ত্রন করায় মসজিদের কোন উন্নয়ণ হচ্ছিল না। এ জন্য গ্রামের মুসল্লিরা মসজিদের উন্নয়নের জন্য নতুন কমিটি গঠনের চেষ্টা করছে। তিনি জানান, পুরো গ্রামের লোক একদিকে। আর এর বিরোধীতা করছে শুধু লালনের পরিবার।
লালন মন্ডল জানান, মসিজদে আমরা জমি দিয়েছি। কিন্ত গ্রামের কিছু লোক আমাদের না জানিয়ে কমিটি গঠন করছে। মসজিদকে লক্ষ করে ইট নিক্ষেপের ঘটনা তিনি অস্বীকার করেন।