চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ বিঘা পানের বরজ ও কলা বাগান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের দুয়ারপাড় মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা ও হরিণাকুন্ডু ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে জামজামি ইউনিয়নের দুয়ারপাড় মাঠের একটি পান বরজে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তেই আগুন পাশের পান বরজে ছড়িয়ে পড়ে। একে একে প্রায় ৩০টি পান বরজ ও ২টি কলা বাগান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন-লিফাজ উদ্দিন ২ বিঘা, রফিকুল ১০ কাঠা, রাহুল ১বিঘা,খাজা ১০ কাঠা,মানোয়ার ১০ কাঠা, আলী হোসেন ১০ কাঠা, জয়বদ্দিন ১০ কাঠা, ঝন্টু ১ বিঘা, শীলু ১৫ কাঠা, রবিউল ১৫ কাঠা, ডাবু ১ বিঘা, বকুল ১৫ কাঠা, রইছ ১ বিঘা, জোরাপ ১০ কাঠা, হারুন ১০ কাঠা, পাপ্পু ১০ কাঠা, সুজন ১০ কাঠা, মধু ১০ কাঠা, আদম ১০ কাঠা, বাবুল ১০ কাঠা, মুনিয়ার ৫ কাঠা, ফরিদ ১০ কাঠা, কদম ১০ কাঠা, জমির ১০ কাঠা, বাচ্চু ১০ কাঠা। মোট ২৬ জন কৃষকের প্রায় ১৬ বিঘা জমি ভস্কিভূত হয়েছে।
ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, আগুনের সূত্রপাত হলে, গ্রামের শতাধিক লোকজন নিয়ে আগুন নেভাতে ছুটে যান। মাঠে পুকুর কিংবা ডোবা না থাকায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে বসতবাড়ির পাশের বাঁশবাগানের আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুয়ারপাড় মাঠে ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। এছাড়া মাঠের ইঞ্জিনচালিত শ্যালো মেশিনও তালাবদ্ধ থাকায় পানি পায়নি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এতে আগুন নেভাতে তাদের বিঘ্ন ঘটে। পরবর্তীতে বসতবাড়ির নলকূপের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন তারা।
আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে খবর পেয়ে আলমডাঙ্গার দুইটি ইউনিট ও হরিণাকুন্ডুর দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভির জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে। দুয়ারপাড় মাঠের ৩০ টি পান বরজ ও ২টি কলা বাগান পুড়ে গেছে। এতে কৃষকের প্রায় ২০-২৫ লাখ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। তাদের ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষি সহায়তা করা হবে।