আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ও ডাউকি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গত রোববার রাত ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত পৃথকভাবে এ ঘটনা ঘটে। এতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ মোট ৫ জন আহত হয়েছে। এসময় কুমারী ইউনিয়নে ১ টি পুড়িয়ে দেয়াসহ ৭ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এঘটনায় পুলিশ কুমারী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সেলিম (২৫) ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর হিরণ নামের দুই কর্মীকে আটক করে থানা নিয়েছে। ঘটনার পর থেকে দুই ইউনিয়নে চরম আতংক বিরাজ করছে।
কুমারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, রোববার রাতে আমি পথসভা শেষ করে আমার নির্বাচনী অফিসে আসি। এসময় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টুর কর্মীরা হঠাৎ আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর চালাই। এসময় আমার কর্মীর একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আরও ৫ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে তারা। এসময় আয়ুব আলী (৩০) নামে আমার এক কর্মীকে ব্যাপক মারধর করে। তাকে স্থানীভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীরা তাদের নিজেদের অফিস ভাংচুর করে আমাদের নামে এখন দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
কুমারী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান (বর্তমান) প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টু বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোন অফিস ভাংচুর করেনি আমার কর্মীরা। উলটো তারাই আমার একটি অফিস ও দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। এসময় রিপন ও লাভলু নামে দুজন কর্মীকে মারধর করে তারা। তাদেরকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অপর দিকে, ডাউকি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হোসাইন বলেন, ইউনিয়নে ২ নং ওয়ার্ডের পোয়ামারি গ্রামে আমার একটি অফিস ভাংচুর করেছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান (বর্তমান) প্রার্থী তরিকুল ইসলামের কর্মীরা। এসময় আমার কর্মী আলী হোসেনকে (৪০) মারধর ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিনি খাতুনের পেটে লাথি মেরে আহত করে। স্থানীভাবে তাদের দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
ডাউকি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান (বর্তমান) তরিকুল ইসলাম বলেন, ওটা বিএনপি নাকি জামাতের অফিস কেউ কিছুই জানেনা। কোন পোস্টার ও ছিলনা ওই অফিসে। ছোট একটি টং এর অফিস তাই ধাক্কাধাক্কির সময় হইতো ভেঙ্গে গেছে। আমার কর্মীরা কাউকে মারধর তো দূরের কথা উলটো আমার এক কর্মীকে তারা গালিগালাজ করেছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, কুমারী ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী দুজনের আহতের কথা জেনেছি। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর একটি মোটরসাইকেল কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে। এঘটনায় পুলিশ উভয়পক্ষের দুজনকে আটক করেছে। তিনি আরও বলেন, ডাউকি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাংচুরের খবর জেনেছি। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।