রমজান মাসকে ঘিরে আলমডাঙ্গা পৌর শহরে বেড়েছে খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতা ও অবৈধ যানবাহনের আনাগোনা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাপড়, কসমেটিকস ও জুতা স্যান্ডেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান পাট খোলা রয়েছে। সে কারণে শহরের তিন কিলোমিটার সড়ক জুড়ে যানজটের ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় লোকজন। তবে সড়ক সংকুচিত ও অবৈধ ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ির অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচলকে দায়ি করছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পৌর শহরের হাইরোড সহ বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো সরু। সাধারণ মানুষের জন্য পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো ফুটপথ হিসেবে ব্যবহার করেন। অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের সামনের অংশ ব্যবহার করছেন। একারণে ক্রেতারা তাদের গাড়ি সড়কের পাশেই দাঁড় করিয়ে কেনাকাটা করেন। এতে ফুটপথ ব্যবহারকারীদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের মোড়ে মোড়ে অবৈধ ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ির অবৈধ স্টান্ড। এসব সড়কে মালবাহী ট্রাক কিংবা প্রাইভেট কার প্রবেশ করলেই দীর্ঘ যানজটে পরিণত হয়। সড়ক সংকুচিত হলেও প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আলতায়েবা মোড় থেকে চারতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার সড়কের দু’পাশে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি রিপ্রেজেন্টেটিভদের মোটরসাইকেলের লম্বা সারি। এছাড়া স্বাধীনতা স্তম্ভ হতে চারতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের পাশে ফুটপথ দখল করে চায়ের দোকান, মোটরসাইকেল গ্যারেজ, কনফেকশনারী ও ফাস্টফুড এবং সাইকেল ও ক্রোকারিজের দোকান মালিকেরা তার সামনের অংশ দখল করে রেখেছে। একই চিত্র মাছ বাজার, হলুদপট্টি, কাপড়পট্টি, হাজী মোড় হতে লালব্রীজ সড়ক। এছাড়া শহরের তিনটি প্রবেশদ্বারে রয়েছে অবৈধ যানবাহন নসিমন-আলমসাধু, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও ভ্যানগাড়ি। এক স্থানে তিন যানবাহনের স্টান্ড হওয়ায় বিভিন্ন সময় সড়কে যাতায়াতে মোটরসাইকেল আরোহী সড়ক দুর্ঘটনার সম্মূখিন হন।
সৈয়দ হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বছরের পর বছর ধরে এই যানজটে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। পৌরসভার উন্নয়ের আশা দিয়ে মেয়র নির্বাচিত হলেও পরে তাদের খোঁজখবর থাকে না। পৌরবাসীর ভাগ্য বদল হয় না। ব্যাটারি চালিত ভ্যান কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না। এ শহর দিনের পর দিন আরো যানজটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।