দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলে দেওয়ার প্রথমদিনে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছিল সাজ সাজ রব। স্কুল ও গেট সাজানো হয়েছে রঙ-বেরঙের ফুল ও বেলুন দিয়ে। শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ টাঙিয়েছেন ব্যানার।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এক টেবিলে দুজন শিক্ষার্থীকে বসিয়ে নেওয়া হয়েছে ক্লাস। সকাল থেকে স্কুল পরিদর্শনে মাঠে কাজ করে জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শনে জানাযায়, করোনা সংক্রমণ কমার পরিপ্রেক্ষিতে খুলে দেওয়া হয়েছে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ। নতুন কিংবা পরিষ্কার করা ইউনিফর্ম পরে, কাঁধে বই-খাতার ব্যাগ ঝুলিয়ে দলে দলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরেছে। তাদের কলরবে দীর্ঘদিন নিস্তব্ধ হয়ে থাকা স্কুল-কলেজ মুখরিত হয়ে উঠে তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান চত্বর।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবার মুখে ছিল স্বস্তির ছাপ। দীর্ঘদিন পর একত্রিত হতে পেরে সবাই একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে ও থার্মাল মেশিন দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়েছে। অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করা হয়।
আলমডাঙ্গার কুমারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মীর সামসুল জোহা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর স্কুল খোলায় শিক্ষার্থীদের দেখার মত উপস্থিতি ।
মীর সামসুল ইসলাম জোহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার রশিদ সাগর জানান, রবিবার সকাল থেকে স্কুলে শিক্ষার্থীদের আগমণ ঘটে। স্কুলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক পরিক্ষা শেষে তাদের স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। হাটবোয়ালিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জিনারুল ইসলাম বলেন, স্কুল খোলার নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে স্কুলে পর্যাপ্ত পরিমানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।