আলমডাঙ্গার কাঁচা বাজারে তরিতরকারী ও মরিচের পর হঠাৎ করেই আগুন লেগেছে পেঁয়াজে। মঙ্গলবার সকালে কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে পেঁয়াজের ঝাজে ক্রেতাদের অনেকেরই চোখ দিয়ে জল গড়িয়েছে। ৫০ টাকা কেজির পেঁয়াজ রাত পেরুতেই হয়ে গেছে ১০০ টাকা। যে কোন ধরনের সবজি ও কাঁচা মরিচের আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে এমনিতেই মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এরপর একদিনেই পেঁয়াজের দ্বিগুন মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার আলমডাঙ্গার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের কেজি ছিল প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা তা বিক্রি করেছেন ৬০ টাকা কেজি দরে। কিন্ত সোমবার রাতে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার খবর প্রচার হলে পরদিন মঙ্গলবার সকালেই ৫০ টাকা কেজির পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়ে যায় ১০০ টাকা। আড়তদাররা নিজেরা সকাল থেকেই দাম বাড়িয়ে দেয়। আড়তে থাকা আগের দিনের বস্তা বস্তা পেঁয়াজও একই দামে বিক্রি করা হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আড়তদাররা কুষ্টিয়ার অন্যান্য বাজারের সাথে যোগাযোগ করে কিছুটা কমে বিক্রি শুরু করে। এ ক্ষেত্রে খুচরা বিক্রেতারা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করে ৯০ টাকা দরে।
ব্যাগ হাতে বাজারে আসা ক্রেতা হাফিজুর রহমান ক্লেদাক্ত কণ্ঠে বলেন, ৪০ টাকা কেজির নিচে কোন তরকারী নেই। কাঁচা মরিচের কেজি ১৫০ টাকা। পেঁয়াজ ১০০ টাকা। সাধারণ মানুষের আয় তো বাড়েনি। করোনার জেরে আয় আরও কমেছে। কিভাবে ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চালাব?
মহিলা ক্রেতা নাসিমা বেগম বলেন, কোন তরকারীর দাম কম নয়। সবই ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আমাদের মত সাধারণ মানুষের খেয়ে বাঁচার পরিস্থিতি নেই।
খুচরা বিক্রেতা জামান বলেন, সোমবারে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। মঙ্গলবার সকালে প্রথমদিকে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হয়।
পরে আবার কমিয়ে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান। এই সুযোগে এক শ্রেনীর আড়তদার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির পায়তারা করছে বলেও জানান তিনি।