আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের দ্বন্দের অবসান ঘটেছে। গতকাল রোববার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও ৯ জন ইউপি সদস্য এবং ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের মধ্যস্ততায় এ বিরোধ শান্তিপূর্ণ ভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে।
জানা যায়,গত ২১ মাস যাবৎ ওই পরিষদের ৪ ইউপি সদস্যের বেতন-ভাতা না পাওয়া নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালে। নির্বাচনে শপথের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলসহ নারী ও পুরুষ সদস্যরা পরিষদের দায়িত্ব নেন। দায়িত্বরপ্রাপ্ত হওয়ার পর ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৪ ইউপি সদস্য ২১ মাসের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না বলে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন । এনিয়ে চলতে থাকে দীর্ঘ বিরোধ। পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ঠাণ্ডু মণ্ডল, ৩ নং ওয়ার্ডের শামিম রেজা, ৪ নং ওয়ার্ডের শাহাদত হোসেন ও ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন মণ্ডল।
এই চার সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড.কিসিঞ্জার চাকমা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ অভিযোগের তদন্ত করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার। করা হয় গণশুনানি।
গত ১৬ অক্টোবর সরকারী অনুদান (কৃষকদের ভর্তুকি) এসেছে। এমন খবরে কৃষি অফিসে আসায় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে চার ইউপি সদস্যের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ইউপি সদস্যদের মারপিটের ঘটনাটির সিসি ক্যামেরার ভিডিও স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তে ভাইরাল হয়। এনিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। শুরু হয় নানান গুঞ্জন। ৪ ইউপি সদস্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া আলমডাঙ্গা থানাও মারপিটের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করে।
এমন উত্তেজেনাকর পরিস্থিতির মধ্যে কুমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টুর উদ্যোগে গত রোববার বিকেলে বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদে দুই পক্ষকে নিয়ে আপোষ মিমাংসায় বসেন।
এ ধরনের অনাকাক্ষিত ঘটনা আর ঘটবে না,এবং মেম্বারদের সাথে সমন্বয় করে সকল কার্যক্রম পরিচালনার করাসহ একসাথে চলার অঙ্গিকারের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ বিরোধের শান্তি পূর্ণ সমাধান করা হয়। দীর্ঘ দিনের এই বিরোধ নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি।