আলমডাঙ্গার বেশ কয়েকটি ইটভাটাই বহন করা টলির মাটি পড়ে রাস্তায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ে কাঁদায় ওই সব ভাটার সামনের সড়ক সয়লাব হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনার ঝুকি নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে ভোগান্তির শিকার জনসাধারণকে। একদিকে নেই বৈধ কাগজপত্র অন্যদিকে কাঠ-খড়ি পোড়ানোর কারণে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। দু’একটি বাদে প্রায় সবগুলি ইটভাটাই ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে চলছে। ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা স্থাপন আইন অনুসারে এলজিইডির সড়কসহ সকল সড়ক থেকে কমপক্ষে আধা কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করার নির্দেশনা থাকলেও আলমডাঙ্গার প্রায় সকল ইটভাটা এ আইন লঙ্ঘন করে গড়ে উঠেছে। ওইসব ভাটা মালিকরা আইন অমান্য করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নিচ্ছে। কয়লার পরিবর্তে পোড়াচ্ছে কাঠ-খড়ি।
এতসব অনিয়মের পর নতুন করে শুরু হয়েছে আরেক দুর্ভোগ। মাটি টানার কারণে এসব ভাটার সামনে পিচ রাস্তায় কাদা জমে চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃস্টি হচ্ছে। এসব ভাটার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বন্ডবিল এলাকার মতিয়ার রহমান বাবুর ইটভাটা, ফরিদপুর এলাকার চাঁদ আলী ও সেলিম (জাবর), কুমারী এলাকার আব্দুল মজিদ। এসব ইটভাটার কাঁচামাল অর্থাৎ মাটি পরিবহণে এলজিইডিসহ সরকারি সড়ক ব্যবহার না করার নির্দেশনাটিও মান্য করা হচ্ছে না।
ইটভাটাগুলির মাটি টানা টলি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন অমান্য করেই বাধাহীনভাবে চলাচল করছে। মাটিভর্তি টলিগুলি সারাদিন সড়কগুলিতে দাপিয়ে বেড়ানোর সময় সারা সড়কের উপর মাটি কাঁদা ছিটকে পড়ে। গতকালের ফিসফিসানি বৃষ্টিতে এ সকল সড়কে গ্যাদগেদে কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক কোথাও কোথাও অত্যন্ত পিচ্ছিল হয়ে চলাচল হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েই জনসাধারণকে সড়কে চলাচল করা হচ্ছে।
এ সকল অনিয়ম প্রতিনিয়ত প্রশাসনের চোখের সামনেই সঙ্ঘটিত হচ্ছে। আইন প্রয়োগে প্রশাসনের অনীহার কারণে আশকারা পাচ্ছে ইটভাটার মালিকরা। সম্প্রতি আইন মেনে চলতে বাধ্য করতে ডিসি সম্মেলনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও বেপরোয়া ইটভাটা মালিকরা আইন মেনে চলতে মোটেও সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। সচেতন মানুষ এসকল বিষয়ে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন।