আলমডাঙ্গায় তাসলিমা খাতুন (৫৫) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে ওই নারী আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়। তাসলিমা খাতুন পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মতিয়ার রহমানের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, তাসলিমা তার সেজো ছেলেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য উপজেলার কয়েকটি বেসরকারি (এনজিও) থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। প্রতি সপ্তাহে তাকে ৪০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। তার ছেলে বিদেশ থেকে টাকা না দেওয়ায় কিস্তি পরিশোধ করতে পারেননি। এতে শাখা ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজন মাঠকর্মী বাড়িতে এসে তাকে গালিগালাজ করেন। তারা পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নেওয়ারও হুমকি দেন।
পুলিশের ভয়ে ও মনের দুঃখে সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করে। বিকেলে স্বজনরা গলায় দড়ি পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখে আলমডাঙ্গা থানায় সংবাদ দেন।
তাসলিমার ছোট ছেলে বিপ্লব জানায়, কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তার মা। এর কিস্তির জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে চাপ দিয়েছিলেন এনজিওর কর্মকর্তারা। তারা গালিগালাজ করে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন। লোকসমাজ ও পুলিশের ভয়ে তাঁর মা আত্মহত্যা করেছেন।
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, তাসলিমা কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে তথ্য পেয়েছি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে।