চাকরি ও ঋণ দেবার আশায় (এসএমসি) ফাউন্ডেশন নামের এনজিওর প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক লক্ষাধিক টাকা নিয়ে রাতারাতি উধাও হয়ে গেছে। ঘটনাটি আলমডাঙ্গা পৌর শহরের স্টেশন এলাকায় ঘটেছে। এতে চাকুরি ও ঋণ পাবার আশায় টাকা দেওয়া সাধারণ ভুক্তভোগীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, গত ১৫ দিন পূর্বে আলমডাঙ্গা পৌর শহরের স্টেশন এলাকায় (এসএমসি) ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। লোভনীয় বেতন দেবার নামে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে নারী কর্মীদের নিয়োগ প্রদান করে। চাকুরির জন্য ১০-২০ হাজার টাকা জামানত নেয় এনজিও অফিসের কর্মকর্তারা।
এছাড়া মোটা অংকের লোন পাবার জন্য উপজেলা বাড়াদি, কুমারী, বেলগাছিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের নারীদের নিকট থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত সংগ্রহ করে। এতে ভুক্তভোগীদের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১০ লক্ষ টাকা লুটপাট করে পালিয়েছে এনজিও চক্রটি।
(এসএমসি) ফাউন্ডেশনের ফরমের উপরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক অনুমোদিত বলে তারা গ্রাহকের নিকট দাবি করে। এছাড়া Govt.Reg-S-6464/07C-52567/69469/10 Rural Development Project লেখনির মাধ্যমে মানুষের মাঝে আস্থা তৈরি করে।
এরই কারণে প্রতারিত হয়ে আলমডাঙ্গা বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের রুবিনা খাতুন ১৫ হাজার, জান্নাতুল ১০ হাজার, হাসান ২ হাজার, নজরুল হোটেল ৭ হাজার, জনি ১৪ হাজার, বাড়াদি ইউনিয়নের কাটাভাঙ্গা গ্রামের জহুরুল ১০ হাজার, পলাশ ৫ হাজার লাভলু ২ হাজার, তৌহিদুল ৬ হাজার মারিফুল ১৫ হাজার, টুটুল ৬ হাজার, মোকারুল ২৫ হাজার, রুনা খাতুন ১০ হাজার, বিল্লাল ২০ হাজার ও আলী হোসেন ৫ হাজার টাকা প্রদান করে। এছাড়াও অসংখ্য ব্যক্তি বিভিন্ন অংকের টাকা দিয়ে লোন পাবার আশায় থাকে। প্রায় শতাধিক মানুষের নিকট থেকে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগীরা লোন নিতে (এসএমসি) ফাউন্ডেশনের অফিসে উপস্থিত হয়। এসময় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তাদের খোঁজখবর না পেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে ভোরে তারা চলে গেছে।
রুবিনা খাতুন জানান, লোভনীয় অফার দিয়ে চাকুরি করতে আগ্রহ জানান তারা। পরবর্তীতে চাকুরি করতে জামানত হিসাবে ১৫ হাজার টাকা নেয়।
তিনি আরো জানান, সকালে চাকুরিতে যোগদান করতে আসি। এসে অফিস তালাবদ্ধ দেখতে পায়। অনেক মানুষ লোন নিতে আসা সাধারণ মানুষ ভিড় করে।