আলমডাঙ্গায় টেলিকমের দোকানে চুরির ঘটনায় ৪ এসএসসি পরীক্ষার্থী আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পু্লশি উপজেলার হাটবোয়ালিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
এ সময় ওই শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে কম্পিউটারের মনিটরসহ মোবাইল ও দোকানের অন্যান্য মালামাল। আটক ৪ জন হলো হাটবোয়ালিয়া গ্রামের আজমত। উল্লাহ হুদার ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ (১৬), একই উপজেলার ফুল বগাদি গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে রেশাদ আলী (১৭) মেহেরপুর জেলার গাংনি উপজেলার শালদাহ গ্রামের ছায়েদুল ইসলামের ছেলে সুফাইফ হাসান সিজান (১৬), ও নগরবোয়ালিয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম শান্ত (২৬)। আটকৃতদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার নগরবোয়ালিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে আনিছুর রহমান আলো হাটবোয়ালিয়া বাজারে ‘মুক্তা কম্পিউটার এন্ড মিউজিক পয়েন্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যবসা করেন। গত ১ জানুয়ারী রাতে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিন কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা কম্পিউটার মনিটর,মোবাইল সেট, হার্ডডিক্স,মেমোরী কার্ড, হেডফোনসহ দোকান থেকে ২ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। চুরির বিষয়টি দোকান মালিক পু্লশিকে জানিয়ে পুনরায় মালামাল কিনে ব্যবসা শুরু করেন। একই ভাবে গত ১০ ফেব্রুয়ারী রাতে দোকানের পেছনে সিঁদ কেটে চোরেরা আইপিএস ব্যাটারী, ছোটবড় হেডফোন ৩শ’ পিচ, গ্লাস পেপার,২ হাজার মোবাইল গ্লাস পেপার,ইউপিএস, ৩ টি টাচ মোবাইল সেট,সিসি ক্যামেরাসহ ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
পুনরায় চুরির ঘটনা হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্পে জানালে ক্যাম্প পুলিশ চোরদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে। ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে চুরি হওয়া একটি মোবাইল উপজেলার মোড়ভাঙ্গা গ্রামে নানার বাড়িতে থাকা অবস্থায় সুফাইফ হাসান সেজানের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে মোবাইলে দোকানে চুরির ঘটনা স্বীকার করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই পুলিশ হাটবোয়ালিয়া গ্রাম থেকে আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদকে আটক করে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৩টি পুরাতন টাচ মোবাইল সেট,৬ টা নষ্ট বাটন ফোন,১টি ইউপিএস,২টি কী-বোর্ড,১টি সিসি ক্যামেরা, ১২টি ব্লুটিথ হেডফোন,৯৩ টি হেডফোন,২টি স্পিকার,২১০টি মোবাইলের ব্যাকপ্যাড,১টি রাউটার,৮টি চার্জার,৭২৩ টি মোবাইলের গ্লাস পেপার,১০ টি চার্জারের মাথাসহ ২ লাখ ১৬ হাজার টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। পরে ফুয়াদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরবোয়ালিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম শান্তকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ১৯ ইঞ্চি মনিটর। আটক ৩ জন চুরির ঘটনা স্বীকার করে রেশাদ নামের আরও এক জনের নাম জানায়। রাতেই পুলিশ রেশাদকে আটক করে। আটক ৪ জনই মেরটি স্কুলের ছাত্র এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী। চুরির এই ঘটনায় দোকান মালিক বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, চোরাই একটি মোবাইল উদ্ধার ও একজনকে আটকের পর চুরির ঘটনায় জড়িতদের আটক ও তাদের কাছ থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।