উপজেলাব্যাপী গ্রামের ছোট ছোট দুগ্ধ খামারি ও পোল্ট্রি খামারিদের জন্য করোনাকালীন ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আর্থিক সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সরকারি এই অনুদান সুফলভোগিদের মাঝে বিতরণ করবে। রবিবার বিকালে আলমডাঙ্গা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হিল কাফির সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর্থিক বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কবলে আজ বিশ্ব অর্থনীতি। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। দেশের অন্যান্য এলাকার মত আমাদের উপজেলাতেও তৃণমূল পর্যায়ে অনেক ছোট ছোট দুগ্ধখামারি ও পোল্ট্রি খামারি রয়েছে যারা করোনাকালীন আর্থিক মন্দায় পড়েছেন। সরকার এইসব ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের আর্থিক সহায়তা করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের মাঝে আর্থিক অনুদান বন্টন করবে। শতভাগ নিরপেক্ষ থেকে সুফলভোগীদের যাচাইবাছাই করবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হিল কাফি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ দুগ্ধ ও পোল্টি খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণাকে বাস্তবায়ন করছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের নির্বাচন করে সরকারি আর্থিক সহায়তা দেব। এ জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন সদস্য সচিব হিসেবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, সদস্য ভেটেরিনারী নার্জন, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা।
এই কমিটি তৃণমূল থেকে নিজস্ব লোকবল দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের নাম সংগ্রহ করবে। এরপর অধিকতর বাচাইবাছাইয়ের মাধ্যমে সুফলভোগিদের নির্বাচন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সুফলভোগিদের হাতে হাতে নগদ টাকা দেওয়ার পরিবর্তে বিকাশ বা তদরূপ মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে।