আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃত্রিম প্রজনন কর্মী ও পশু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং কাঙ্খিত বাচ্চা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ শে মার্চ এমন অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে আশাবুল হক নামের এক খামারি। ওই অভিযোগে কৃত্রিম প্রজনন কর্মী ও পশু চিকিৎসক আব্দুল মান্নানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এ জরিমানা আদায় করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের বেগুয়ারখালি গ্রামের বাসিন্দা আশাবুল হক। তিনি আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড (এডিএল) এ.আই কার্ডধারী খামারি। তার খামারী ব্যবসার উপরে জিবিকা ও পরিবার নির্বাহ করেন। ২০২৩ সালের ২৩ মে স্থানীয় কৃত্রিম প্রজনন কর্মী আব্দুল মান্নানের মাধ্যমে একটি গাভী গরুকে ব্রাহামা সিমেন দেওয়ার কথা বলে তিন হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে গরুটি কনসিভ না করলে আবারো ওই চিকিৎসকে ডেকে আনি। তিনি দফায় দফায় কৃত্রিম প্রজননের নামে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়া ব্রাহামা সিমেন দেবার কথা থাকলেও বাচ্চা প্রসবে দেখা যায় শাহিওয়াল ক্রস। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ভুক্তভোগী আশাবুল হককে জরিমানার ২৫% অর্থ দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহীল কাফি জানান, কৃত্রিম প্রজননের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ প্রতারণার অভিযোগে ভোক্তা অধিদপ্তর তাকে জরিমানা করেছে।