তিব্র রোদ ও অনাবৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছে আলমডাঙ্গা উপজেলার পান চাষিরা। পানি সংকটে শুকিয়ে যাচ্ছে আবাদি ফসলের জমি। গাছেই শুকিয়ে ঝরে পড়ছে পানের পাতা । এতে লোকসানের আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষকেরা।
স্থানীয়রা বলছেন, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে জেলার উপর দিয়ে টানা ১৭ দিনের মত তিব্র তাপদহ চলমান রয়েছে। গত বছর বৃষ্টির পানি না হওয়ায় এবছর দ্রূত পুকুর ও খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে সেচ পাম্পেও পানি উঠছে না। পান বরজ সহ বিভিন্ন ফসলের খেতে সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও কিছু অঞ্চলে বসতবাড়িতে সুপেয় পানির সংকটও দেখা মিলেছে। এভাবে চলতে থাকলে হাজারো কৃষককে পথে বসতে হবে।
জেহালা ইউনিয়নের শ্রী বাবু কুমার বলেন, গরমে ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে গেছে। সেচ পাম্পেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
বাড়াদি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সারোয়ার হোসেন জানান, মাথাভাঙ্গা নদীর পানি নাব্যতা কমেছে। অনেক এলাকায় চর জমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। নদীর পাশের বাড়িগুলোতে নলকূপে পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, দাবদহের কারণে অনেক এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন সেচ দিয়েও গাছ স্বাভাবিক আনার চেস্টা করছে কৃষকেরা। আমরাও নিয়মিত পানে পানি দেবার জন্য কৃষকদের অবগতি জানানো হচ্ছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সি.সি.টি আনিসুজ্জামান বলেন,- গভীর নলকূপ প্রকল্প চলমান রয়েছে। কোন অঞ্চলে পানি সংকট দেখা দিলে দ্রূতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।