আলমডাঙ্গায় আলোচিত প্রবাসীর স্ত্রী সোনিয়া খাতুনের আত্নহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি শিক্ষক সাকিলকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পলাতক শিক্ষক সাকিলকে আটক করে। আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানাযায়।
জানাযায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের প্রবাসী নাজমুল হকের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি সকালে শশুর বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করে।
প্রবাসীর স্ত্রী গৃহবধূ সোনিয়া খাতুনের আত্নহত্যার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃস্টি হয়। সোনিয়া খাতুন কামালপুর গ্রামের প্রবাসী নাজমুল হকের স্ত্রী।
সোনিয়া খাতুনের স্বামী প্রবাসী হওয়ায় সে কামালপুর গ্রামের মঙ্গলের ছেলে শিক্ষক সাকিলের সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রেমের সম্পর্কের ইতি টানে গৃহবধূ সোনিয়া।
তবুও থেমে থাকেনি লম্পট সাকিল। গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় গৃহবধুকে নিয়ে কুমন্ত্রণা করে বেরাতো। এ সুযোগে কামালপুর গ্রামের মোহাম্মদ ফাণির ছেলে রণি, খবির উদ্দিনের ছেলে কলিমউদ্দিন, কাশেম আলির ছেলে উজ্জ্বল বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধুকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সোনিয়া তার শশুর শাশুড়ীকে বিষয়টি জানান।
উত্ত্যক্ত কারীদের কাছে প্রতিবাদ না করে গৃহবধু সোনিয়াকে দোষারোপ করে শশুর সিরাজুল ইসলাম ও শাশুড়ী সায়েরা খাতুন এবং নাজমুলের ভাই বাবুলের বউ মুক্তা খাতুন শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতে থাকে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে গৃহবধূ সোনিয়া। শশুর বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে হারদি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এঘটনায় মৃত গৃহবধুর পিতা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আত্নহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করে। গৃহবধূ আত্নহত্যার পরপর তারা সকলে পলাতক রয়েছে।