‘আলমডাঙ্গাতে কোন রাজনীতি নাই’ দীর্ঘদিন ধরে সচেতন মহলের মাথায় এই দূর্বোধ্য ভাবনাটি ঘুরছে। চেয়ার আছে, পদ আছে অথচ রাজনীতি নাই। কিন্ত যেখানে মানুষ আছে সেখানে রাজনীতি কেন থাকবে না? রাজনীতি তো মানুষের কল্যাণের জন্য।
রাজনীতি না থাকলে মানুষের কল্যাণ কিভাবে হবে? এরকম বড় বড় প্রশ্নও মানুষের মাথায় ঘুরছে। ঘুরছে অনেকদিন। কিন্ত কোন উত্তর নাই। রাজনীতির মানব কল্যাণের এসব প্রশ্ন নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও হারদী ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মাথা ঘামিয়ে যারা এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন তারা মনে করেন, ঠিক জায়গায় ঠিক নেতৃত্ব আসছে না। যারা নেতৃত্বে থাকছেন তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিজেকে নিয়ে ভাবছেন। মানুষের কল্যাণের কথা ভাবছেন না। ঠিক নেতৃত্বের অভাবেই মানুষের জন্য যে রাজনীতি তা কোথাও যেন আজ হাওয়ায় মিশে গেছে। মানুষের জন্য কল্যাণমুখী রাজনীতিটা তাই এখন আর সাধারণ মানুষের নজরে আসছে না।
তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন করেন, আমাদের এমপি মহোদয় জীবনভর জনগণের জন্য কল্যাণমুখী রাজনীতি করে যাচ্ছেন। কিন্ত আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কেন তাঁর ঠিক অনুসারি হতে পারছেন না?
নুরুল ইসলাম আলমডাঙ্গা পৌর শহরের অপূর্নাঙ্গ ড্রেনেজ ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, অনেক টাকা নেতাদের পকেটে উঠেছে কিন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা জনগণের কোন কল্যাণ বয়ে আনেনি। এটাকে রাজনীতি বলে না। বলে শোষণনীতি।
তিনি আলমডাঙ্গার শহীদ মিনার নিয়েও কথা বলেন, তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারী সব দলের সব নেতা রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান।
কিন্ত শহীদ মিনারের মাঠ থাকে কর্দমাক্ত। বড় বড় চেয়ারের মালিকরা মাঠটিকে মাটি দিয়ে ভরাট করতে পারেন না। এটা দায়িত্বহীনতা।
তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়েও কথা বলেন। সভাপতি পৌরসভার মেয়রের চেয়ারে বসে তার দায়িত্ব পালন করছেন।
কিন্ত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘবছর ধরে কিভাবে আর কি কি উপায়ে তার দায়িত্ব পালন করেন জানতে চেয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, এভাবে একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল চলতে পারে না। একটা মানুষের কখনও কল্যাণে আসবে না। তাকে দিয়ে রাজনীতিকে মানুষের জন্য কল্যাণমুখী কাজ করা অবাস্তব।
তিনি দলের ঠিক জায়গায় ঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে জোর আহবান জানান।