আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছায় লিজা খাতুন (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ঘোলদাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্দার করে।
ঘোলদাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাজির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লিজা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের উত্তরপাড়ার লিটন আলীর মেয়ে। সে ঘোলদাড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
পুলিশ জানায়, মোবাইলে গেমস খেলা নিয়ে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে লিজার দ্বন্দ্ব হয়। এতে দুই ভাই-বোনের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল রাত ১১ টার দিকে সকলের অগচরে শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানে ওড়না বেধে গলায় ফাঁস দেয় লিজা খাতুন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ জামাল বলেন, মাস দুয়েক আগে লিজা খাতুনের মাকে ডিভোর্স দেন তার বাবা। এরপর থেকেই দুই ভাই বোন দাদির কাছে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে এই কারণেই মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে। তবে প্রকৃত ঘটনা পুলিশের তদন্তের পর জানা যাবে।
ঘোলদাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাজির উদ্দিন বলেন, ছোটভাইয়ের সঙ্গে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল লিজার। অভিমানেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, লিজা নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে।